Home রাজনীতি খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত : ফখরুল

খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত : ফখরুল

23

স্টাফ রিপোটার: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে প্রধানমন্ত্রী এমন উক্তি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আজ বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই অভিযোগ করেন তিনি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার রোগমুক্তি কামনায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনায় খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি জেলে ছিল। অসুস্থ ও বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় নির্বাহী ক্ষমতার মাধ্যমে তাঁকে আমি তাঁর বাসায় থাকার সুযোগটা করে দিয়েছি। কিন্তু এখন বলছে, খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাঁকে বিদেশে পাঠাও। আহ্লাদের আর শেষ নাই।

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সম্পর্কে গতকাল যেসব উক্তি করেছেন, আমরা ভাবতেও পারি না, কল্পনাও করতে পারি না, এই ধরনের উক্তি কেউ করতে পারে। এটা সমস্ত রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত। এর একটাই কারণ। সেটা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। প্রতি মুহূর্তে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) হিংসা করেন, সহ্য করতে পারেন না। যেকারণে আজকে তাঁর সম্পর্কে এ সমস্ত অনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কথা বলেন, যা এ দেশের মানুষ কখনই ভালো চোখে দেখে না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আজ ন্যূনতম চিকিৎসা থেকে তিনি (খালেদা জিয়া) বঞ্চিত হচ্ছেন। আজকে তাঁর চিকিৎসকেরা যারা আছেন, তারা খুব পরিষ্কার করে বারবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিদেশে একটা বিশেষায়িত হাসপাতালে তাঁর (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা হওয়া দরকার। কিন্তু এই দেশে এমন প্রধানমন্ত্রী বসে আছেন, যার মধ্যে ন্যূনতম রাজনৈতিক শিষ্টাচার নেই।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করেছে বলেও অনুষ্ঠানে অভিযোগ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার (মিশেল ব্যাচেলেট) ফিরে যাওয়ার পরে আমাদের এখানে যারা মন্ত্রী আছেন, তাঁরা প্রচার করেছেন যে, হাইকমিশনার নাকি মানবাধিকার সম্পর্কে কোন কথাই বলেননি, এখানে মানবাধিকার নাকি খুব ভালো। সেই হাইকমিশনার অফিস থেকে বিবৃতি দিয়ে বলেছে যে, সরকারের মন্ত্রীরা সব মিথ্যা কথা বলেছে। এতে করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে।

আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য নেতা কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সামনে কোন বিকল্প রাস্তা নেই। আমাদের এখন দায়িত্ব হচ্ছে নিজেদের সংগঠিত হয়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে। তাদের বাধ্য করতে হবে, তারা পদত্যাগ করবে, সংসদ বিলুপ্ত করবে, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।’

জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত দোয়ার এই অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান এবং দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।