Home জাতীয় মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিল বেলপুকুর থানা পুলিশ, মুচলেকা দিল ইউপি চেয়ারম্যান

মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিল বেলপুকুর থানা পুলিশ, মুচলেকা দিল ইউপি চেয়ারম্যান

53

রাজশাহী অফিস: রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের আগলা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ী রেজাউলও তার সহকারী হাফিজুরকে বেলপুকুর থানা পুলিশ গ্রেফতারের পর মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই মাদক ব্যবসায়ীকে মাদক সেবনকারী সন্ধেহ প্রমানিত না হওয়ার অযুহাত দেখিয়ে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেয়ায় এ নিয়ে এলাকায় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। ছেড়ে দেয়া গ্রেফতার ক্রিত রেজাউল দূর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের শাহাবাজপুর গ্রামের নিজামের ছেলে, তার সহকারী চক-কাপাশিয়া হাফিজুর

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত-৭এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে আগলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী রেজাউলও তার সহকারী হাফিজুর কে গ্রেফতার করে বেলপুকুর থানা পুলিশ থানার এরপর রেজাউলও তার সহকারী হাফিজুর কে ছাড়াতে আসেন দূর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সম্রাট মুচলেকা দেন এবং ওইদিন সন্ধ্যার পরে মোটা অঙ্কের টাকা নেন বেলপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান এরপর থেকেই উদ্ধার গাজার বিষয়টি গোপন করেন এবং রেজাউলও তার সহকারী হাফিজুরকে কৌশলে ছেড়ে দেন।

এবিষয়ে বেলপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বেলপুকুর থানার আওতাধীন আগলা এলাকা থেকে সন্দেহভাজন ভাবে রেজাউল ও হাফিজুর নামে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয় এরপরে তারা মাদকাসক্ত কি না এই বিষয় টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাদের পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয় এরপর সন্দেহ ভাজন অভিযুক্তদের সেখানে ডোপটেস্ট করানো হয় কিন্তু তারা কোনো ধরনের মাদকের সাথে জরুিত নয় এই মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায় এরপর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানাযায় পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাদকাসক্ত নিশ্চিত করনে কোনো ব্যবস্থা নেই।

এব্যাপরে অভিযুক্ত রেজাউল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। এছাড়াও তাদের পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডোপটেস্ট বিষয়টি ও বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধারের বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন।

দূর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সম্রাটের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বেলপুকুর থানাধীন গত-৭এপ্রিল আনুমানিক ৩টার সময় মাদকাসক্ত এই সন্দেহ মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার শাহবাজপুর গ্রামের নিজামের ছেলে রেজাউলও তার সহকারী হাফিজুর গ্রেফতার করে এরপর পুলিশ ডোপটেস্টের কথা বলে তারা কোথায় ডোপটেস্ট করেছে আমি বিষয় টি অবগত নয় এরপর বেলপুকুর থানা পুলিশ মুচলেকা নিয়ে রেজাউল ও তার সহকারী হাফিজুর কে ছেড়ে দেয়।