Home কৃষি তরমুজ চাষীদের স্বপ্নে থাবা দিয়েছে “মিধিলি”

তরমুজ চাষীদের স্বপ্নে থাবা দিয়েছে “মিধিলি”

51

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র হানা পড়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তরমুজ চাষীদের স্বপ্নে। আগাম তরমুজ বাজারে বিক্রি করবে। এমন আশা নিয়েই ধার দেনা করে কৃষকরা উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মেরাওপাড়া ও চিঙ্গুরিয়া গ্রামে চাষাবাদ শুরু করেন। জমিতে রিংবেরি, ড্রেন, থানা ও সাড় ঔষধ দিয়ে সাজিয়ে ছিলো। এমনকি বীচ ফুঁটিয়ে রোপনের উপযোগীও করেছিলেন তারা। কিন্তু মিধিলি’র প্রভাবে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে সব ক্ষেত। এতে তাদের কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে এমনটাই দাবী করেন তরমুজ চাষীরা। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনো ণির্ধারন করা হয়নি বলে জানান কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তর লালুয়া লঞ্চঘাট থেকে মেরাওপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১’শ একর জমিতে আগম তরমুজ চাষাবাদ শুরু করে কৃষকরা। বীজও বোপন করেছিলো অনেকে। সব কিছুই ছিলো ঠিক ঠাক। ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মূহুর্তেই সব স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে কৃষকদের। ক্ষেত তলিয়ে রয়েছে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও নদীর পানিতে। বর্তমানে পানি নিষ্কাশনসহ জমি তৈরীতে আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চাষীরা। এখন ধার দেনা শোধের দু:শ্চিন্তার যেন শেষ নেই তাদের।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আগাম তরমুজ চাষ শুরু করেছিলো কৃষকরা। এরমধ্যে লালুয়া ইউনিয়নে প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে এ চাষাবাদ শুরু হয় বলে লালুয়া ইউনিয়নের দায়িত্বরত কৃষি অফিসার মো.জামাল হোসেন জানান।
মেরাওপাড়া গ্রামের তরমুজ চাষী সাঈদ হাওলাদার বলেন, তিনি সাড়ে ৩ লক্ষ টাকায় অন্যের জমি লিজ নিয়ে প্রায় ১৯ একর জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন। প্রতি ১’শ গ্রাম বীজ ৭ হাজার ৫’শ টাকা মূল্যে মোট ২ কেজি ২০০ গ্রাম বীজ ক্ষেতে রোপনের জন্য তৈরী করে। সর্বশেষ ক্ষেত সাজাতে তার প্রায় ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। মিধিলি’র প্রভাবে তার তরমুজ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। এতে প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা তাদের দুষ্কর হবে বলে এ কৃষক জানান।
একই কথা বলেছেন চিংগুড়িয়া গ্রামের স¤্রাট খাঁন, শাহিন হাওলাদার, গিয়াস মোল্লাসহ আরো অনেক তরমুজ চাষীরা।
লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, তরমুজ চাষীরা তাদের দু:খের কথা জানালে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। মিধিলি’র প্রভাবে ওইসব তরমুজ চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে সহায়তা পেলে এসকল কৃষকরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসার এ আর এম সাইফুল্লহ বলেন, মিধিলি’র প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। এজন্য আমাদের ফিল্ড অফিসাররা মাঠে কাজ করছেন।