Home জাতীয় চুয়াডাঙ্গায় ইমামের বেতনের টাকা তোলা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১২

চুয়াডাঙ্গায় ইমামের বেতনের টাকা তোলা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১২

36

ডেস্ক রিপোর্ট: চুয়াডাঙ্গায় মসজিদের ইমামের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই নারীসহ উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের মাছেরদাইড় গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে আবারও বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। এসময় হাসপাতাল থেকে আটক করা হয় দু’জনকে। এছাড়া ওই গ্রাম থেকে আরও ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।

আহতরা হলেন- মাছেরদাইড় গ্রামের মৃত নুরু ব্যাপারীর ছেলে তাইজেল আলী (৫০), জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে তোতা মিয়া (৩৪), আলী কদরের ছেলে বাবুল হোসেন (৪০), মিজানুর রহমানের ছেলে রাজু আহমেদ (৩০), মৃত আব্দুল বাতেনের ছেলে আশকার আলী (৫০), তার স্ত্রী রিজিয়া খাতুন (৪০), ছেলে রিপন আলী (২১), হোসেন আলীর ছেলে অনিক আলী (২২), মৃত শের আলী দেওয়ানের ছেলে সালাউদ্দিন (৪০), মিজানুর রহমানের ছেলে শাওন আলী (২২), আব্দুল মতিনের স্ত্রী শাহানাজ খাতুন (৫০) ও মৃত সোলেমান মিজির ছেলে সিরাজ আলী (৫৭)। আহতদের মধ্যে তাইজেল (৫০) সভাপতির পক্ষের লোক। বাকিরা ক্যাশিয়ার পক্ষের লোকজন।

আহত আশকার আলী জানিয়েছেন, আমি মসজিদের ক্যাশিয়ার। গতকাল রোববার মসজিদে ইমামের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে সভাপতি শহিদুল্লাহর সঙ্গে আমার বাগবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি নিয়ে সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুনরায় মসজিদে বসা হয়। পরে সভাপতির পক্ষের লোকজন আমাদের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। গ্রামের লোকজন ঠেকাতে এলে তারাও রক্তাক্ত জখম হয়।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, আমার কোনো লোক আশকার আলীকে মারধর করেনি। তারাই মসজিদের ইমামের বেতনের টাকা তোলা নিয়ে ঝামেলা শুরু করেছে।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, আহদের মধ্যে ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তারা আশঙ্কামুক্ত। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। ওই ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।-আমাদের সময়.কম