Home সারাদেশ এখনও শেষ হয়নি কুয়াকাটা বাস টার্মিনালের নির্মান কাজ।।ফসলের মাঠে পার্কিং হচ্ছে পর্যটক...

এখনও শেষ হয়নি কুয়াকাটা বাস টার্মিনালের নির্মান কাজ।।
ফসলের মাঠে পার্কিং হচ্ছে পর্যটক বহনকারী দুরপাল্লার যানবাহন

19

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় এখনও নির্মান কাজ শেষ হয়নি বাস টার্মিনালের। এর ফলে মহাসড়কের পাশেই ফসলের মাঠে পার্কিং করা হচ্ছে পর্যটক বহনকারী দুরপাল্লার যানবাহন। এসব যানবাহন সৈকত থেকে অন্তত এক কিলোমিটার দূরে সারিবদ্ধভাবে মাঠেই দাড়িয়ে রয়েছে। তবে দুর থেকে তাকালে মনে হবে এটি একটি বড় ধরনে বাস টার্মিনল। সেখান থেকে নেমে পর্যটকদের যেতে হয় হোটেল-মোটেলে। কেউ ইজিবাইক কিংবা ভ্যানে করে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ যাচ্ছে পায় হেটে। আগে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা আসতে সময় লাগতো ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা। এখন পদ্মা সেতু হওয়ায় সেই সময় নেমে এসেছে ৬ ঘণ্টায়। তাই সরকারি ছুটি কিংবা বিশেষ কোন দিন ছাড়াই হাজারো পর্যটক ছুঁেট আসছে সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। আর পর্যটকদের পাশাপাশি একই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে যানবাহনের সংখ্যা এমনটাই জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টসহ স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বাস টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৩ কোটি ৬ লক্ষ টাকা ব্যয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজটি করছে। কুয়াকাটা পৌর এলাকার সীমানায় মহাসড়কের পাশেই তুলাতলীতে ছয় একর জমিতে এ বাস টার্মিনালটি নির্মিত হচ্ছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণের জটিলতার কারণে একটু সময় পেরিয়ে গেছে। তবে ২০২২ সালের জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা সম্পূর্ণ করতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। এরফলে সড়কের উপর যানবাহন রাখায় সৃষ্টি হয় যানজটের। হিমশিম খেতে হয় ট্যুরিস্ট পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসনকে। পরে পরিত্যক্ত একটি মাঠে এসব যানবাহন পার্কিং করছে। তবে সেখান থেকে ইজিবাইক কিংবা ভ্যানে সৈকতসহ হোটেল-মোটেল জোনে যেতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
পর্যটক রায়হান বলেন, এর আগেও বেশ কয়েকবার কুয়াকাটায় এসেছি। তখন সৈকত সংলগ্ন চৌরাস্তায় গাড়ি থেকে নিমেছি। এবার এসে একটি মাঠে নামতে হয়েছে। অপর এক পর্যটক ফয়সাল বলেন, সরিসরি বাস পার্কিং দেখে প্রথমে মনে হয়েছে কুয়াকাটার বাস টার্মিনালে আমাদের বাস থামিয়েছে। নেমে দেখলাম বাস টার্মিনাল নয়, এটি একটি মাঠ। সেখান থেকে ইজিবাইকে করে হাটেল পর্যন্ত পৌঁছাতে ৪০ টাকা করে ভাড়া দিতে হয়েছে।
বাস চালক ফারুক হেসেন বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাই পর্যটকের চাপ বেড়ে গেছে। একই সাথে বাড়ছে দূরপাল্লার যানবাহন। অপর এক চালক হাবিব বলেন, প্রতিদিন যে সংখ্যক গাড়ি আসছে সেই পরিমানে এখানে পার্কিং সুবিধা নেই।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কুটুম’র সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন,পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর পর্যটকের আগমন বেড়ে গেছে। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটিসহ সরকারি ছুটির ও বিশেষ দিনগুলোতে পর্যটকের আগমন বেশি হচ্ছে। একই সাথে বেড়েছে যানবাগনের সংখ্যা। তাই দ্রুত বাস টার্মিনাল নির্মান কাজ সম্পন্ন করার দাবী করেন তিনি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, দর্শনীয় স্থানগুলোতে সার্বক্ষণিক ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো.আনোয়ার হাওলাদার বলেন, বাস টার্মিনালের ভবন এবং কার্পেটিং’র কাজ চলছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যেই টার্মিনালের কাজ শেষ হবে।