Home জাতীয় আলতাফ মাহমুদ ছিলেন সাংবাদিক সমাজের আর্দশের প্রতীক

আলতাফ মাহমুদ ছিলেন সাংবাদিক সমাজের আর্দশের প্রতীক

25

স্টাফ রিপোটার : প্রয়াত আলতাফ মাহমুদ ছিলেন সাংবাদিক সমাজের অহংকার ও আর্দশের প্রতীক। তিনি ভোগবিলাসী জীবন-যাপনে বিশ্বাসী ছিলেন না। শতভাগ সহজ-সরল জীবন-যাপন করে গেছেন।

প্রয়াত সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদ স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন।নএই স্মরণ সভার আয়োজন করে সেভ দ্য জার্নালিস্ট ও জার্নালিস্ট ভয়েস অব বাংলাদেশ।

স্মরন সভায় বক্তারা বলেন, আলতাফ মাহমুদ সাংবাদিকতায় আসেন গত শতকের সত্তরের দশকে।তিনি অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নে (ডিইউজে) পাঁচ বার সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন আলতাফ মাহমুদ। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তিনি ছিলেন আপসহীন নেতা। তিনি বলতেন, আমাদেরকে বাংলাদেশের স্বপ্ন ও সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কাজ শুরু করতে হবে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।

বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূইয়া বলেন, সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদ নেতা হিসেবে হালুয়া-রুটি ভাগাভাগীর নীতিতে বিশ্বাস করতেন না। সাংবাদিক নেতা হিসেবে ক্ষমতাকে সুযোগ-সুবিধার আদায়ে ব্যবহার করেননি। ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক হয়েও অন্য নেতাদের মতো রাষ্ট্রীয় সুবিধা নেননি। সাংবাদিকদের যে কোন দাবী আদায়ের সংগ্রামে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়তেন।
তিনি বলেন, আমারা যখন ইউনিয়ন করতার তখনও আমাদের মধ্যে রাজণৈতিক বিভেদ ছিলো, কিন্তু এখনকার মতো টেবিল ভাগাভাগি ছিলো না।
ডিইউজে যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বলেন, আলতাফ মাহমুদ একজন স্বজ্জন পরোপকারী মানুষ ছিলেন। তিনি আজীবন সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন। প্রতি বছর অন্তত এক থেকে দুইটি স্মরণ সভার আয়োজন করা উচিত। তিনি বলেন, পেশাগত মর্যাদা রক্ষায় তার মতো সাংবাদিকের আদর্শ মেনে চলা উচিৎ।

মোশারফ হোসেন তার বক্তব্যে সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের সাথে দীর্ঘদিনের পরিচয় আর পেশাগত সম্পর্কের স্মৃতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তাকে স্মরণ করার চেয়ে তার আদর্শ অনুসরণ করাই আমাদের জন্য উত্তম কাজ হবে। তিনি ছিলেন সাদা মনের সহজ-সরল মানুষ। মানুষকে ভালবাসা আর মানুষের প্রতি সমব্যাথি হওয়ার গুণ ছিলো তার মধ্যে।

সাংবাদিক জামাল উদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক আদর্শ থাকলেও সেই আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করেননি। কখনো নীতি বিসর্জন দেননি। তিনি এমন নেতা ছিলেন যে, কোন সাংবাদিক বিপদে পড়ার খবর পরই তার পাশে দাঁড়িয়ে যেতেন।

সংগঠনের সভাপতি ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি কাজী রফিক এর সভাপতিত্বে ও ডিইউজে যুগ্ম সাধারন সম্পাদক খায়রুল আলম’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মোল্লা জালাল ও মহাসচিব আবদুল জলিল ভূইয়া, ডিইউজে সভাপতি আকতার হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, ডিইউজে সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, সিনিয়র সাংবাদিক জাকারিয়া কাজল ও স্বপন দাস গুপ্ত, বিএফইউজে কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, সাবেক সহ সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, জার্নালিস্টস ভয়েস অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল কাজল, পলিটিক্যাল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আলম হোসেন, ঢাকা বিভাগ সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সফিকুল ইসলাম, ডিইউজে সাবেক প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম সুজন, গোলাম মুজতবা ধ্রুব প্রমূখ।