Home বাণিজ্য ও অর্থনীতি ৫৩৮০০ মেট্রিকটন ওপিসি ক্লিংকার ও লাইমস্টোন মাদার ভ্যাসেল ভিড়েছে পায়রা বন্দরে

৫৩৮০০ মেট্রিকটন ওপিসি ক্লিংকার ও লাইমস্টোন মাদার ভ্যাসেল ভিড়েছে পায়রা বন্দরে

26

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। এবার ৪৩৭০০ মেট্রিক টন ওপিসি ক্লিংকার ও ১০১০০ মেট্রিকটন লাইমস্টোন নিয়ে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রায় ভিড়েছে এমভি মেঘনা হারমোনি নামের একটি মাদার ভ্যাসেল। বৃহস্পতিবার দুপুরে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক বন্দরের নিজস্ব জলযানযোগে বন্দরের ইনার অ্যাংকোরেজে থাকা এই জাহাজটি পরিদর্শন করেন। এসময় বন্দরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। একের পর এক মেঘনা গ্রুপের জাহাজ বন্দরে প্রবেশ করায় এটি বন্দরের একটি মাইল ফলক বলে মনে করছেন বন্দর চেয়ারম্যান।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে লাইটারের মাধ্যমে চলছে পন্য খালাস কার্যক্রম। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর শনিবার জাহাজটি ভিয়েতনামের নাগিসন বন্দর থেকে পায়রার আউটারেজে এসে পৌছায়। আউটারে থাকা অবস্থায় ১৬ হাজার মেট্রিকটন খালাস করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ৬০ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন লাইমস্টোন নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করবে মেঘনা গ্রæপে আরো একটি জাহাজ। এছাড়া বন্দরে আগমনের উদ্দেশ্যে এই গ্রæপের আরও ৫ টি জাহাজের এলসি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পায়রা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক ও মিডিয়া উইংস মো.আজিজুর রহমান জানান, এর আগে ৩৩০০ মেট্রিক টন তরল গ্যাস নিয়ে আসে ‘বসুন্ধরা এলপিজি চাতকী’ নামের একটি মাদার ভেসেল। এই জাহাজটি গত সোমবার দুপুরে বন্দেরর ইনার অ্যাংকোরেজে এসে পৌঁছে নৌ-পথের খালাস কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৬ সাল থেকে এই বন্দরে দেশি বিদেশি ২৩০০টি জাহাজ এসেছে। বন্দরে জাহাজ আসার সংখ্যা বেড়েই চলছে।
পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান রিয়াল এ্যাডমিরাল গোলাম সাদেক সাংবাদিকদের জানান,পায়রা বন্দর স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রিন ফিল্ড পোর্ট হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগের উন্নয়নে মূলত বন্দরটি কাজ শুরু করেছিলো। গত বছর ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ সমাপ্ত হয়েছিলো। এখন চলছে মেইনটেইন্সের কাজ। ইতিমধ্যে মেঘনা গ্রæপসহ দেশের বড় বড় গ্রæপ অব কোম্পানি এই বন্দর ব্যবহার করতে শুরু করেছে। আশা করি আগামিতে দেশের আরো বড় বড় কোম্পানি এই বন্দর ব্যবহার করবে। একের পর এক মেঘনা গ্রæপের জাহাজ বন্দরে প্রবেশ করায় এ বন্দরের একটি মাইল ফলক বলে তিনি মনে করেন।