Home সারাদেশ শেরপুরে হত্যা ও গণধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামিকে গ্রেফতার...

শেরপুরে হত্যা ও গণধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪

23

আনিছ আহমেদ শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের পর হত্যার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ কালু মিয়া (৪০) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪ জামালপুর। কালু মিয়া দীর্ঘ ০৭ বছর ধরে বিভিন্ন স্থানে সামিউল ইসলাম পরিচয়ে শ্রমিক ও রাজমিস্ত্রি পেশায় নিয়োজিত ছিল। ২৪ জানুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় র‌্যাব-১৪ এর অভিযানে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন তাকুৃয়া গার্মেন্টস এর সামনে থেকে কালো মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভিকটিম (১৫) একজন গরিব ঘরের সন্তান। ভিকটিমের মা (বাদী) যমুনা টেক্সটাইল মিলে অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। ৩ বছর যাবত সপরিবারে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার রতনপুরে বসবাস করতেন তারা। ভিকটিম স্থানীয় ব্রাক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়তো। গত ৬ জুলাই ২০১৬ ইং ঈদে সপরিবারে তারা গ্রামের বাড়িতে যান। ছুটি শেষে ভিকটিমকে তার নানীর কাছে রেখে পরিবারের সদস্যরা গাজীপুরে চলে গেলে ১৯ জুলাই নিখোঁজ হয় ভিকটিম। ২১ জুলাই স্থানীয় জিয়ারখাল থেকে ভিকটিমের ভাসমান বীভৎস লাশ উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, বাকাকুড়া গ্রামের মৃত ফজল হকের ছেলে মোঃ আমান উল্লাহ এর সাথে ভিকটিমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিবাহের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় আমান উল্লাহ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। অপর আসামি কাল্লু মিয়া (৪০) বাড়িতে এসে ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই ভিকটিম নিখোঁজ হয় এবং আসামি আমান উল্লাহ, তার মা এবং কালু মিয়া পলাতক হয়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মায়ের করা মামলায় শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক ১৮ অক্টোবর ২০১৮ খ্রিঃ কালু মিয়া (৪০) কে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
এক‌ই দিনে র‍্যাব-১৪ এর অপর এক অভিযানে শেরপুরের চাঞ্চল্যকর অটোরিকশা ছিনতাই ও চালককে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাগর (২৬) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামি সাগর পরিচয় গোপন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সিএনজি চালক পেশায় এবং সর্বশেষ মোঃ শাহীনুর নাম পরিচয়ে ইসলামী ব্যাংক, রাজেন্দ্রপুরে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরী করে ৬ বছর যাবত আত্মগোপনে ছিলো।
সাগর এর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে জামালপুর ক্যাম্পের অভিযানিক দল অনুমান রাত ৯ টার দিকে গাজীপুর জেলার সদর থানাধীন রাজেন্দ্রপুর এলাকা হতে তাকে আটক করে।

জানা যায়, ভিকটিম মোঃ রেজ্জাক (৩৫) একজন অটোরিক্সা চালক ছিলেন। গত ৭ মার্চ ২০১৬ খ্রিঃ সকালে অটোরিক্সা নিয়ে বাইরে গিয়ে আর ফিরে আসেনি সে। ভিকটিমের স্ত্রী (বাদী) খোঁজাখুজি করে স্বামীকে না পেয়ে থানায় মৌখিকভাবে ঘটনাটি জানায়। অতঃপর বাদী ও পুলিশসহ খোঁজাখুজির একপর্যায়ে দমদমা কালিগঞ্জ এলাকায় কবরস্থানে অটোরিক্সাটি রক্তমাখা অবস্থায় খুঁজে পায় এবং আসামী মিল্টনের বসতঘর হতে ভিকটিমের রক্তাক্ত কাপড় উদ্ধার করে। পরে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ৮ মার্চ ২০১৬ ইং মোবারকপুরে একটি ইটভাটা হতে ভিকটিমের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে। সদর থানার মামলা নং-০৮/১০২ মূলে পরবর্তীতে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ গত ৬ এপ্রিল ২০২২ ইং সাগর (২৬)’কে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে ও ১০০০০/- টাকা অর্থ দন্ড এবং অনাদয়ে আরো তিন মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।