Home রাজনীতি হাত-পা ছুঁটে লাভ নাই,দুর্নীতি দানবের তিনমাথা থেঁতলে দাও: ইনু

হাত-পা ছুঁটে লাভ নাই,দুর্নীতি দানবের তিনমাথা থেঁতলে দাও: ইনু

16

পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী ব্যুরো: আঙুর,খেজুরের পরিবর্তে বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দেওয়ায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় করার আহ্বান জানিয়েছেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

আজ (০৪ মার্চ)সোমবার বিকেলে জাতীয় যুবজোটের রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এই আহ্বান জানান তিনি।

রাজশাহী নগরীর গণকপাড়ায় জয় বাংলা চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে হাসানুল হক ইনু আরও বলেন,আমি একটু আগে মোবাইলে দেখলাম,এক মন্ত্রী বলেছেন- ‘রোজার সময় খেজুর আর আঙুর দিয়ে ইফতার কইরেন না,বরই দিয়ে করেন।আল্লাহ,কী বলব বলেন! নিত্যপণ্যের মূল্যে মানুষ জর্জরিত। আপনি (মন্ত্রী) মানুষের সঙ্গে ঠাট্টা-মশকরা করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,এই ধরনের মন্ত্রীকে এখনই….লাথি মেরে বের করে দেন।

তিনি আরও বলেন,কত বড় সাহস! বরই দিয়ে! বরইয়ের মুখী ঢুকাই দিব তোমার। যুবসমাজ জাগো। বরইয়ের বস্তা ওই মন্ত্রীর বাসায় ফেলো। আমি বরই দিয়ে ইফতারি করব, আর তুই খেজুর আর আঙুর খাবি। সাহস থাকে তো বল। খেজুর আর আঙুরের আমদানি নিষিদ্ধ কর। কর নিষিদ্ধ। খেজুর আর আঙুর আমদানি করবা,গরিব মানুষ বরই খাবে,তুমি আঙুর আর খেজুর খাবা,তা হবে না, হা হবে না।

ইনু বলেন,মাত্র দুমাস হলো নির্বাচন শেষ হলো। একটা উত্তাপহীন রাজনীতির কথা ছিল। কিন্তু একটা গুমোট ভাব, কোনো উত্তেজনা নেই। বিরোধিতার মতো রাজনৈতিক যুদ্ধের ভেতরে নির্বাচন কখনো ভালো হয় না, তাই হয়েছে। কমতি আছে, ঘাটতি আছে। কিন্তু দিনের শেষে বাংলাদেশের এত বিরোধিতার মুখেও নির্বাচনের রাজনীতির অনিশ্চয়তা দূর করে নির্বাচনটা হয়েছে। একটা স্বস্তি এসেছে। কিন্তু নিম্নআয়ের মানুষ, দিন আনে দিন খায়, নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনে কোনো স্বস্তি আসেনি। তারা পেটের জ্বালায় জর্জরিত। তেল, নুন, পেঁয়াজ, চিনি, আদা, রসুন, মরিচ, যেটাতেই হাত দেয়, হাতে পুড়ে যাচ্ছে। সকালে একদাম, বিকেলে ডাবল দাম।

তিনি আরও বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হুংকার ছাড়ছেন দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। মন্ত্রীরা চিৎকার করছেন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে,কিন্তু দাম কমছে না।নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। তাহলে ব্যর্থ কে? শাসন ব্যর্থ! কেন তারা কথা শুনছে না?এটা কি সিস্টেমের দোষ,মুক্তবাজার অর্থনীতির দোষ,নাকি যারা দাম বাড়াচ্ছেন তারা সরকারের ছায়ায় বসবাস করেন যে,তাদের গলা টিপে ধরা সম্ভব হচ্ছে না? প্রধানমন্ত্রী বলার পরেও দাম কমে না,অস্বাভাবিক ব্যাপার! এত শক্তি,এত সাহস,এটা কীভাবে সম্ভব!এই জিনিসপত্রের দাম ওঠানামা করছে কয়েক বছর ধরে।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মজিবুল হক বুক,উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান শফি,মহানগর জাসদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী,রাজশাহী জেলা জাসদের সভাপতি প্রদীপ মৃধা,মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল কবির বাবু,সহ সভাপতি শাহরিয়ার রহমান সন্দেশ,যুবজোটের কার্যকরী সভাপতি আমিনুল আজিম বনি প্রমুখ।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন,জাতীয় যুবজোট এর সভাপতি মো.শরিফুল কবির স্বপন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন,জাতীয় যুবজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি শরিফুল ইসলাম সুজন ও সঞ্চালনায় করেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরী।