Home জাতীয় স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আবারও শেখ হাসিনাকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে: বস্ত্র ও পাট...

স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আবারও শেখ হাসিনাকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে: বস্ত্র ও পাট পাটমন্ত্রী

24

রাজকারের সন্তানেরা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে: বিএসএমএমইউর উপাচার্য

স্টাফ রিপোটার: ‘‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নই আমাদের অঙ্গীকার’’ স্লোগান নিয়ে ‘চাকুরিতে কোটা পূনঃবহাল ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে সরকার গঠনে মুক্তিযুদ্ধের ধারা অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সুরক্ষার নতুন প্রজন্মের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও জেলা কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় (২৫ আগস্ট ২০২৩) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক অডিটোরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিেেলন বীর মুক্তিযোদ্ধা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীক। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রচয়িতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম এই কনভেনশনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাব-সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম (এসপি মাহবুব), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) মোহাম্মদ আলী সিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দ সৈনিক একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক দৈনিক ভোরের আকাশের সম্পাদক ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল, আমেনা নূর ফাউন্ডেশনের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আল জামান (সিআইপি), নির্বাচিত জেলা কমান্ডার এসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোজাম্মেল হক, নির্বাচিত জেলা কমান্ডার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আবু সাঈদ মিয়া, মুক্তিযুদ্ধ সংহতি পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ পিন্টু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর প্রথম সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন। এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক দিন । পচাত্তরের আগস্টে আমরা তাকে হারাই। দীর্ঘদিন পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আলোর মুখ দেখতে পেলাম। দীর্ঘ ২১ বছর যখন স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় ছিল, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা সার্টিফিকেট প্রদর্শন করতে পারিনি। মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট লুকিয়ে রাখতে হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধার কথা বললে চাকরি দেয়া হতো না। এসময় মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলার পর হামলা পরিচালিত হয়েছিল।

মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর আরো বলেন, আবারও স্বাধীনতা বিরোধীরা সংগঠিত হচ্ছে। যেসব দেশ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল, স্বাধীনতা বিরোধীরা তাদের সঙ্গে আবার হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আবারও শেখ হাসিনাকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা এখন যুবক, তাদের এ ষড়য়ন্ত্র নামক রাজনৈতিক যুদ্ধ করতে হবে। কারণ আমাদের বয়স হয়েছে। এ রাজনৈতিক যুদ্ধে যদি সফল না হন তবে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর কোন দাবি আদায় হবে না। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে । জেলায় জেলায় এ ধরণের আয়োজন করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আগস্টে আমরা যাদের স্মরণ করি, তাদের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে স্বপ্ন ছিল, তা বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী প্রজন্মকে কাজ করতে হবে। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আজ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা সমবেত হয়েছে। মনে রাখতে হবে, এদেশে রাজাকারদের সন্তানও রয়েছে। রাজকারের সন্তানেরা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র করছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা যদি একত্রে রাজপথে ঝাপিয়ে পড়ে; তবে যারা ষড়যন্ত্রকারী, যারা অগ্নিসংযোগকারী, যারা এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে, যারা বঙ্গবন্ধুর আর্দশের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তাদের রুখে দিতে পারবে। আজকের সমাবেশের নতুন প্রজন্ম সেই পথে ধাবিত হচ্ছে। এরাই আগামীর বাংলাদেশ, এরাই আগামীতে সরকার গঠন সহযোগীতা করবে।

মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা একদিনে হয়নি। তিনি ধাপে ধাপে এ জাতির পিতায় পরিণত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৌশলেই ১৯৬৬ সালে ৬ দফা ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ৬ দফার প্রতিটি দফায় পাকিস্তানের জন্য আলাদা মুদ্রা, আলাদা রাজস্ব ব্যবস্থা ও আলাদা বাহিনীর কথা ছিল। এইর চূড়ান্ত রূপ দেন ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐহিাসিক ভাষণের মাধ্যমে।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হবার বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছিলেন। দেশ স্বাধীন হবার সময় দেশের মাথা পিছু আয়ছিল ৯৯ ডলার। বঙ্গবন্ধু সেটিকে তার সময়ে ২৭৪ ডলারে উন্নীত করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০০৪ সালের একুশে গ্রেনেড হামলাসহ একাধিকবার হত্যা চেষ্টা করেছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে আহ্বান থাকবে এই হত্যাকারীররা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পেরে যেদিকে লক্ষ রেখে কাজ করতে হবে। রাজাকার আলবদর সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিদের কখনোই এদেশে পতাকা উড়াতে দেয়া যাবে না। তার জন্য আমাদেরকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা যেভাবে দেশকে এগিয়ে যাচ্ছে, তার সেই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার জন্য আবারও তাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

দৈনিক ভোরের আকাশ পত্রিকার সম্পাদক একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠযোদ্ধা ড.মনোরঞ্জন ঘোষাল মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরে আগামীর বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেন, নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এসেছে। ঘরে বসে সভা সেমিনার করলে হবে না। হাটে ঘাটে মাঠে তরুণ প্রজন্মকে সামনের দিনে আওয়ামী লীগের উন্নয়নের বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মত তরুণ প্রজন্মের সামনে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ অপেক্ষামান। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা ৭১ এর মত এত কাজ
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা।