Home সারাদেশ এক ইউনিয়ন থেকে ২২ কোটি টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক চক্র

এক ইউনিয়ন থেকে ২২ কোটি টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক চক্র

32

দৌলতপুরে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে ( MTFE) অ্যাপসের মাধ্যমে একাউন্টে টাকা দিয়ে সর্বশান্ত হাজারও মানুষ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে বিদেশি অ্যাপসের (MTFE) ফাঁদে অনলাইনে বিনিয়োগ করে সর্বশান্ত হয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের হাজারও মানুষ। যারা এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে অর্থের মালিক বনেছেন কোম্পানি উধাও হওয়ার পর তারাও এলাকা থেকে লাপাত্তা হয়েছেন। বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার এলাকা ঘুরে জানাগেছে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের শতকরা ৮০ ভাগ নারী পুরুষ লাখপতি বা কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে বিদেশি অ্যাপসের ফাঁদে অনলাইনে বিনিয়োগ করেন বিপুল অংকের টাকা। তারা ফেসবুকে বিদেশি অ্যাপসের লোভনীয় মুনাফার বিজ্ঞাপন দেখে এবং কোম্পানীর স্থানীয় প্রতিনিধিদের চটকদার অফারে অ্যাপস’র মাধ্যমে একাউন্ট খুলেন। কেউ কেউ কিছু টাকা পেলেও বাঁকীরা সর্বশান্ত হয়েছেন। শুধু দৌলতপুরই নয় এমনকান্ড ঘটেছে জেলা শহরসহ কুষ্টিয়ার সর্বত্র। ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত পেতে কোম্পানীর স্থানীয় কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের কাছে গিয়ে অফিস তালাবদ্ধ ও প্রতিনিধিদের না পেয়ে অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। সফিউল ইসলাম হানিফসহ ভূক্তভোগীদের অভিযোগ ফিলিপনগর এলাকার ফিরোজ ইকবাল ওরফে দুখু নামে এক প্রতারক ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে প্রতারণার মাধ্যমে ভুল বুঝিয়ে এ ফাঁদে পা ফেলতে বাধ্য করেন। এই দুই ইউনিয়নের মধ্যে ফিলিপনগর ইউনিয়নের ৬টি ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কমপক্ষে ২০ থেকে ২২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা লাপাত্তা হয়েছেন বলে ভূক্তভোগী নারী পুরুষের অভিযোগ।
সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে বিপুল অংকের টাকা নিয়ে যারা লাপাত্তা হয়েছেন, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ফিলিপনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নঈমুদ্দিন সেন্টু ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি শরিফুল কবীর স্বপনের।
তবে লাভ দেখলেই লাফালাফি করে সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়তে হবে, অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে এমনটি করা ঠিক না বলে ভূক্তভোগী জনসাধারণকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় এমপি এ্যাড. আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্।

সহজে যা পাওয়া যায় সবসময় তা গ্রহণ করা ঠিক নয়, ভেবে চিন্তে যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিলে এমনিভাবে প্রতারণার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। এমনটি মনে করে সচেতন মহল।