Home সারাদেশ শেখ হাসিনার সরকার, আজীবন দরকার” শ্লোগানে বালিয়াডাঙ্গীতে যুব সমাবেশ।

শেখ হাসিনার সরকার, আজীবন দরকার” শ্লোগানে বালিয়াডাঙ্গীতে যুব সমাবেশ।

120

মোঃ মহশীন আলী, রংপুর অফিস: মাথার ওপর সূর্যের প্রচণ্ড বিকিরণ, পায়ের নিচে উত্তপ্ত পিচঢালা রাজপথ। এরই মধ্যে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হেঁটে চলেছেন হাজার হাজার মানুষ। হাঁটতে হাঁটতে ঘেমে-নেচে একাকার। কিন্তু তারপরও যেন ক্লান্তি নেই কারো চোখে-মুখে। বরং হাতে হাতে জাতীয়-দলীয় পতাকা, বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যুবলীগের চেয়াম্যান ও সম্পাদকের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের গুণগান করে মুখে মুখে বজ্রকণ্ঠে স্লোগান। জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু, উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার। ‘শেখ হাসিনা সরকার, আজীবন দরকার, যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা, ঠাকুরগাঁও ২ আসনে জুয়েল ভাইকে “এমপি হিসেবে দেখতে চাই, সুখে-দুঃখে যাকে পাই, সে আমাদের জুয়েল ভাই। নেত্রী কাছে একটাই দাবি আলী আসলাম জুয়েল ভাই নৌকার যোগ্য প্রার্থী। বিভিন্ন স্লোগানে নেতাকর্মীরা সমবেত হন সমাবেশস্থলে।

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সাফল্য প্রচার এবং আগামী নির্বাচনে নৌকার জয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যুব সমাবেশে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামিয়ে স্মরণকালের বড় জমায়েত করে দেখালেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা যুবলীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরের আগেই উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত যুব সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয় উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা মাঠ। পুরো মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। আশপাশের সড়কগুলোতেও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। নীল, সবুজ, হলুদসহ নানা রঙের টি-শার্ট ও টুপি পরে নেতকর্মীরা বাস, পিকআপ, মোটরসাইকেলে করে আসেন সমাবেশে। অনেকে আবার হেঁটে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমানের সভাপতিত্বে যুব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী।গেস্ট অব অনার উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এড: আবু হাসনাত বাবু।
প্রধান বক্তা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও ২ আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আলী আসলাম জুয়েল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, বড় বাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-বিলকিস বানু লাভলী, জুলফিকার আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-প্রভাষক হুমায়ূন কবির, বড়বাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক-রহমতুল্লাহ।

এরপরই দুপুর সাড়ে ৪টায় এক এক করে মঞ্চে আসেন অতিথিরা। পরস্পর বক্তব্যে বিএনপি দু-একটি সমাবেশ করে যে আতঙ্ক ছড়াতে চায় তার জবাব দিতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ সর্বদা প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেন নেতারা।

বিলকিস বানু লাভলী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তাবায়নে নেত্রী রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর কর্মস্থান সৃষ্টি করেছে।

যুব সমাবেশে প্রধান অতিথি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণমুখী নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত তিন মেয়াদে যে উন্নয়ন করেছে তা নজিরবিহীন। শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এক বিস্ময় বিশ্ববাসীর কাছে। নেতাকর্মীদের সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যুবলীগ কথা রেখেছে। যুবলীগের সম্মেলন জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে।

যুব সমাবেশের প্রধান বক্তা আলী আসলাম জুয়েল বলেন, বিপুলসংখ্যক যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার বেসরকারি খাতে ব্যাংক, বীমা, টেলিভিশন এবং রেডিওসহ সবকিছু দিয়েছে। সরকার প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে যেন যুবকরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চাকরির জন্য বিদেশে যেতে পারে এবং এভাবে তারা তাদের পৈতৃক সম্পত্তি ও জিনিসপত্র সংরক্ষণ করতে পারে। যুবকদের কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে কোনো গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। কারণ তারা যেন উদ্যোক্তা হতে পারে এবং অন্যদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে। আর বিএনপি যুবসমাজের হাতে অস্ত্র, মাদক তুলে দিয়ে তাদের বিপথে পরিচালিত করেছিলেন। তারা যুবসমাজের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে নিজের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন।