Home রাজনীতি সাম্রাজ্যবাদীদের যুদ্ধ জোটে যুক্ত হওয়া সংবিধানে স্বীকৃত নীতির চরম লংঘন

সাম্রাজ্যবাদীদের যুদ্ধ জোটে যুক্ত হওয়া সংবিধানে স্বীকৃত নীতির চরম লংঘন

34

স্টাফ রিপোটার: বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, জোটের কেন্দ্রীয় নেতা সিপিবির সভাপতি কমরেড শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদীর) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি হামিদুল হক আজ ২৯ এপ্রিল সংবাদপত্রে প্রকাশার্থে দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, কৌশলগত অংশীদারিত্বের নামে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি (আইপিএস) ও কোয়াড এর মতো সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ জোটে বাংলাদেশ যুক্ত হলে তা হবে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সংবিধানের চরম লংঘন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের মোড়ল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ তার স্বার্থে দুনিয়ার দেশে দেশে আগ্রসন-লুণ্ঠন চালিয়ে আসছে। সংকট মোকাবিলায় অর্থনীতিকে সামরিক অর্থনীতিতে পরিণত করছে। ফলে একে চাঙ্গা রাখতেই সমরাস্ত্র বিক্রি করতে দেশে দেশে যুদ্ধ-যুদ্ধোন্মদনা আঞ্চলিক ও খন্ডযুদ্ধ বাধাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির আজ সংকট কাল চলছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মার্কিনের নেতৃত্বে এক কেন্দ্রীক যে বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল তা আজ ভাঙতে বসেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম মার্কিন ডলারের শ্রেষ্ঠত্ব কমতে ধরেছে। এ ক্ষেত্রে চীনা অর্থনীতি মার্কিনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মোড়লিপনা ধরে রাখতে এবং ডলারের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে সে আজ মরিয়া। ফলে চীনকে কোনঠাসা করতে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে কৌশলগত অংশীদারিত্বের নামে নানা সামরিক ও যুদ্ধজোট গড়ে তুলছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ভৌগলিক দিক থেকে বাংলাদেশের গুরুত্ব তাই সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে অপরিসীম। সেজন্য মার্কিনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আইপিএস এবং কোয়াডে যোগ দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্রমাগত বাংলাদেশকে চাপ দিয়ে আসছে। এরই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার ১৫ দফা আইপিএস রূপরেখা ঘোষণা করেছে। বাম গণতান্ত্রিক জোট মনে করে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যে কোন সাম্রজ্যবাদী যুদ্ধ জোটে যোগদান হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ এবং সংবিধান বর্ণিত জোট নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতির চরম লংঘন।
নেতৃবৃন্দ কৌশলগত অংশীদারিত্বের নামে কোন যুদ্ধজোটে যুক্ত না হওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। একই সাথে সকল বাম-প্রগতিশীল, দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রপ্রিয় দল-ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে ক্ষমতায় থাকার জন্য সাম্রাজ্যবাদের কাছে নতি স্বীকার করে যদি কোন যুদ্ধজোটে যুক্ত হওয়ার জন্য সরকার অপচেষ্টা চালায় তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।