ডেস্ক রিপাের্ট: সাবেক ছাত্রনেতা মনোয়ারুল হক আর নেই। বুধবার ( ১৭ এপ্রিল ) নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
বেশ কয়েকটি নামাজে জানাজা শেষে আজ রাজধানীর আজিমপুর গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
ছাত্র আন্দোলনের তুখোর এই সাবেক নেতা পঞ্চাশ দশকের মাঝামাঝি পিরোজপুরে জন্ম গ্রহণ করেন।তবে তার বেড়ে ওঠা ঢাকা শহরে ।রাজধানী ঢাকাতেই প্রাথমিক , মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। সেন্টাল গর্ভমেন্ট স্কুল, জগন্নাথ , নটরডেম কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ামোনা করেছেন।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। এসময়কালে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে শিক্ষাজীবনে কিছুটা ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। নিজেকে এই পরিবেশ থেকে সরিয়ে নিতে ১৯৭৫ সালে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হন। কিন্তু ১৯৭৭ সালে সামরিক সরকার স্বাধীনতা বিরোধী ডক্টর আব্দুল বারীকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য নিয়োগ দেয়। শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রবল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। গড়ে ওঠে উপচার্য ডক্টর বারী বিরোধী আন্দোলন। এই আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী ১০-১২জন ছাত্রকে সামরিক সরকার ১৯৭৮-৭৯ সালে দীর্ঘ সময় বিনা বিচাের আটক রাখে, তাদের একজন সাবেক ছাত্রনেতা মনোয়ারুল হক।
বারী বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আবার ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে প্রগতিশীল বামপন্থী সংগঠন ছাত্র মৈত্রীতে যুক্ত হয়ে যায়।
কারাগার থেকে বের হয়ে স্নাতক ডিগ্রী সম্পন্ন করেন।
১৯৮৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শেষ করে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান। ব্যক্তিজীবনে প্রবেশ করে ব্যবসায় সম্পৃক্ত হয়ে সফল একজন ব্যবসাীয় হয়েছিলেন মনোয়ারুল হক।
তিনি রাজনীতি বিশ্লেষক ও লেখালেখীতে যুক্ত ছিলেন। বেশ কয়েকটি বই লিখে পাঠক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।