Home সাহিত্য ও বিনোদন এশীয় শিশুদের সচিত্র দিনলিপি বাংলাদেশের প্রদর্শনী, সনদপত্র বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

এশীয় শিশুদের সচিত্র দিনলিপি বাংলাদেশের প্রদর্শনী, সনদপত্র বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

43

স্টাফ রিপোটার: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো মিতসুবিশি এশীয় শিশুদের সচিত্র দিনলিপি (এনিক্কি ফেস্টা)’ বাংলাদেশ এর প্রদর্শনী, সনদপত্র বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আজ ২৪ জুলাই সোমবার বিকেলে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বিজয়ী শিশুদের পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেয়া হয়।

এর আগে বিকেল ৪ টায় প্রধান অতিথি হিসেবে মিতসুবিশি এশীয় শিশুদের সচিত্র দিনলিপি (এনিক্কি ফেস্টা) বাংলাদেশ এর

চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনের ২নং গ্যালারীতে বিকেল ৪টায় এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী, একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ এবং চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম। প্রদর্শনী চলবে ২৪ জুলাই২০২৩ থেকে ৮ আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।

এরপরই বিকাল ৪.৩০ মিনিটে সনদ পত্র বিতরণ ও আলোচনা পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন একাডেমির কর্মকর্তাবৃন্দ। আলোচনা পর্বে শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার বলেন- “শিশুদের আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে বিশাল এবং গোছানো এ প্রদর্শনীর আয়োজন দেখে বিস্মিত হয়েছি। বাংলাদেশের এতগুলো শিশু শিল্পীরা বিদেশে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের জন্য সুনামের।”

শিল্পী মনই মানুষকে মানুষ হিসেবে তৈরি করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনৃষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী বলেন- “শিল্প সংস্কৃতির আলো সবখানে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করা হয়েছে”- উল্লেখ করে তিনি একাডেমিতে শিশু বিভাগ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিভাগ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু বিভাগ খোলার ঘোষণা দেন। মহাপরিচালক বলেন – “প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় পরীক্ষার নম্বর মেধার বিচারের মানদন্ড হতে পারে না, শিশুদের প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকা, প্রকৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠা জরুরি। প্রকৃতির সংস্পর্শে বেড়ে ওঠলেই কেবল শিশু মননে শিল্পের চর্চা সম্ভব হবে।

বর্তমান সময়ে শিশুরা অনেকেই মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন- “সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও চারুকলা- শিল্পকলার নানা মাধ্যমে সম্পৃক্ত হয়ে এই শিশুরাই আগামির ভবিষ্যত গড়তে পারে”। মহাপরিচালক বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা ভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে, তার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা সুন্দর মানুষের দেশ চাই, নান্দনিক দেশ চাই। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে শিশু বান্ধব সৃজনশীল বাংলাদেশ গঠন করতে চাই।”

পরে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য উপস্থাপন করেন একাডেমির সচিব জনাব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনার মিত্সুবিশি এশীয় শিশুদের সচিত্র দিনলিপি (এনিক্কি ফেস্টা) ২০১৭-২০১৮, ২০১৯-২০২২ ও ২০২১-২০২২ এর পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান করেন প্রধান অতিথি শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। অনুষ্ঠানে নিজেদের অনুভুক্তির কথা জানায় ‘গ্রান্ড প্রিক্স পুরস্কার’ প্রাপ্ত ৩ বিজয়ী শিশুশিল্পী মো: শিমুল, শেখ সামিয়া ইমরানা দিশা, সানজিদা তাবাচ্ছুম।

মিতসুবিশি এশীয় শিশুদের সচিত্র দিনলিপি (এনিক্কি ফেস্ট) বাংলাদেশ এর প্রদর্শনী, পুরস্কার ও সনদ বিতরণ এবং সম্মানিত অতিথিদের সাথে শিল্পীদের আলোকচিত্র ধারণের মাধ্যমে শেষ হয় এ আলোচনা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান।