Home রাজনীতি সাংসদ আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে মামলা করে প্রাণনাশের হুমকির মুখে বাদী

সাংসদ আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে মামলা করে প্রাণনাশের হুমকির মুখে বাদী

67

আহমেদ জালাল : সাবেক চিফ হুইপ পটুয়াখালী-২ আসনের সাংসদ আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ছবি ভাঙচুর ও অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করে প্রাণনাশের হুমকির মুখে রয়েছেন বাদী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সপরিবার বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর তাঁর প্রতিকৃতি রাস্তায় ফেলে পদদলিত করার অভিযোগে সাংসদ আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশি মামলা করার পরে চরম বিপাকে পড়েছেন মামলার বাদী আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাহিদুল হক। এমপির সমর্থকেরা তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাহিদুল হক বলেন, ‘সাংসদ পক্ষের লোকজন তাঁকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছেন। গত মঙ্গলবার রাতে তাঁর ভাইয়ের ঘরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারছেন না।’ এর আগে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আমলি আদালতে নালিশি মামলাটি করেন বাউফল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. জাহিদুল হক।
৪৬ বছর আগে বরিশালের ছাত্রলীগ নেতা থাকাবস্থায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ফিরোজ বঙ্গবন্ধুর প্রতি চরম অবমাননার পাশাপাশি তার ছবি পা দিয়ে মাড়িয়ে ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকারও অভিযোগও আনা হয়েছে ফিরোজের বিরুদ্ধে।
ওই মামলার সাক্ষী করা হয়েছে ছাত্রলীগের বরিশাল জেলা শাখার তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বর্তমান সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক খান আলতাফ হোসেনসহ ১০ জনকে। আদালতের বিচারক মো. জামাল হোসেন নালিশি মামলাটির আদেশের জন্য ১৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আ স ম ফিরোজ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবার নিহত হওয়ার খবর বরিশালে পৌঁছালে বঙ্গবন্ধুর ছবি মাটিতে ফেলে পদদলিত করেন পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের সাংসদ আ স ম ফিরোজ।
সাংসদ আ স ম ফিরোজ বলেন, একটি দল আমাকে নয় বার নমিনেশন দিয়েছে। আমার সম্পর্কে নেত্রী এবং কেন্দ্রিয় নেতারা সব জানেন। এগুলো যাঁরা করেন, তাঁরা বাউফলবাসীকে অসম্মান করছেন। মামলার বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য বুধবার সন্ধ্যায় সাংসদ আ স ম ফিরোজের মুঠোফোনে কল করলেও তিনি ধরেননি। এ বিষয়ে বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি তাঁর জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’