Home রাজনীতি উন্নয়নের পাশাপাশি গণতন্ত্রও নিশ্চিত করতে হবে–মেনন

উন্নয়নের পাশাপাশি গণতন্ত্রও নিশ্চিত করতে হবে–মেনন

38

স্টাফ রিপোর্টার: “উন্নয়নের পাশাপাশি গণতন্ত্রকেও নিশ্চিত করতে হবে, তাকে বিকশিত করতে হবে। পঞ্চাশ বছরে এদেশের উন্নয়ন যেমন বাঁধাগ্রস্থ হয়েছে, তেমনি বিভিন্ন শাসকের হাতে গণতন্ত্রও পর্যুদস্ত হয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থার ধ্বংস সাধন হয়েছে। এখন যখন বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে, তেমনি গণতন্ত্রেরও উত্তরণ ঘটাতে হবে। উত্তরণ ঘটাতে হবে নির্বাচনী ব্যবস্থার। বাইরে থেকে কেউ এসে গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করে দেবে না। এদেশে জনগণই অতীতে তাদের নিজেদের আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রশ্নের মীমাংসা করেছে, এখনও করবে। সেই সক্ষমতা তাদের আছে। কেউ তাদের অতীতে দাবিয়ে রাখতে পারেনি, এখনও পারবেনা।”
আজ ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তীর আলোচনা সভায় পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন।
সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়কে বাস্তবায়িত করার আহবানে ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর আলোচনা সভা আয়োজন করে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড আবুল হোসাইন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেনন বলেন, দুর্নীতি আর বৈষম্যের জনগণ উন্নয়নের সুযোগ ভোগ করতে পারচ্ছে না। রাষ্ট্র ও সমাজে বড় ধরনের বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। এই বিভাজন আরও বিস্তৃত হচ্ছে ধর্মের রাজনীতিক ব্যবহারের কারণে। জামাত মওদুদীবাদীর অনুসরণে ওহাবীবাদের চর্চার কারণে বাংলাদেশে ধর্মের উদারনৈতিক চরিত্রকে পাল্টে দিয়েছে। এসব চলতে থাকলে আগামী পঞ্চাশ বছরের আগেই বাংলাদেশ উন্নয়নে উন্নত দেশে পরিণত হবে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ সাম্য, মানবিক মর্যাদা আর ন্যায় বিচারের বাংলাদেশকে চেনা যাবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তৃব্যে নারী মুক্তিযোদ্ধা ও নারীমুক্তি সংসদের সভানেত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজেরা সুলতানা বলেন, পঞ্চাশ বছরে নারীর অধিকার যেমন বিস্তৃত হয়েছে, নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে তেমনি নারী সামাজিকভাবে ও ধর্মীয়ভাবে নানাবিধি বিধানে অবরুদ্ধ হয়ে পরছে। ঘরে বাইরে নারীর ওপর সহিংস আচরণ বাড়ছে। হাজেরা সুলতানা বলেন, জনসংখ্যার অর্ধেক নারীকে মুক্ত না করে, সমাজ উন্নয়নে নারীকে অন্তর্ভুক্ত না করে উন্নয়নের ধারাকে টিটিয়ে রাখা যাবে না।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কমরেড কিশোর রায়, কমরেড শাহানা ফেরদৌসি লাকী, কমরেড সাদাকাত হোসেন খান বাবুল প্রমুখ।
সভার শুরুতে জাতীয় সংগীত ও দেশের গান পরিবেশন করা হয়।