Home জাতীয় সপ্তাহে দুই দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত ক্ষতিকর এবং প্রহসনমূলক

সপ্তাহে দুই দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত ক্ষতিকর এবং প্রহসনমূলক

35

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ গত ২২ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এক আদেশ থেকে জ্বালানি সাশ্রয়ের নামে সপ্তাহে ২ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ডা.জয়দীপ ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার এক যুক্ত বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তকে সরকারের দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক এবং শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে অভিহিত করেন।

তাঁরা বলেন “ করোনা মহামারীর কারনে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিলো। ফলে শিক্ষা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা যথেষ্ট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। লক্ষ -লক্ষ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে (Drop out). দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি ( Learning gap) তৈরি হয়েছে। নতুন করে দুই দিন বন্ধের এ সিদ্ধান্ত সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।

তাঁরা আরও বলেন,“ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট -কোচিংয়ের দিকে বেশি ঝুঁকবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের গুরুত্ব হারিয়ে ফেলবে। এতে শিক্ষার বানিজ্যিকীকরন যেমন বাড়বে একইসাথে শিক্ষার মর্মবস্তু থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হবে।
এ ঘটনায় আরও একটি বিষয় লক্ষ্যনীয়, সরকার এ ধরনের জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কোন গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নি। অর্থাৎ শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে জড়িত শিক্ষক,শিক্ষার্থী,অভিভাবক,শিক্ষাবিদসহ অন্যান্যদের মতামত নেয়ার প্রয়োজন মনে করে নি। এতে সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক ও আমলাতান্ত্রিক অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়।”

তাঁরা আরও বলেন,“বর্তমান যে জ্বালানি সংকট চলছে; এ হলো আওয়ামী সরকারের দূর্নীতি এবং লুটপাটের ফলাফল। কিন্তু নিজেদের দায় চাপাচ্ছে জনগণের কাঁধে ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা মনে করি – বিলাসবহুল, অপ্রয়োজনীয়, কম গুরুত্বপূর্ণ খাত এবং স্থাপনার বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে বা বন্ধ রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখা দরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠদান এবং পরিচালনা যেন নির্বিঘ্নে হতে পারে সেজন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয় যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়; তার প্রতি জোর দাবি জানাই ”