Home রাজনীতি ডাঃ এম. এ. করিমের মৃত্যুত শোক সভা অনুষ্ঠিত

ডাঃ এম. এ. করিমের মৃত্যুত শোক সভা অনুষ্ঠিত

64

সঞ্জীব রায়: জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং সাপ্তাহিক সেবা পত্রিকার সম্পাদক ডাক্তার এম. এ. করিমের মৃত্যুতে আজ ১৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিকাল ৪টায় শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়। শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চৌধুরি আশিকুল আলম। সভা পরিচালনা করেন সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত। সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগে. জেনা. (অব.) এম. জাহাঙ্গীর হোসাইন, ট্রেডইউনিয়ন সংঘের সভাপতি হাবিব উল্লা বাচ্চু, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির, ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি শ্যামল কুমার ভৌমিক, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির যুগ্ম-আহবায়ক রহিমা জামান মায়া, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম ভুঁইয়া, জাতীয় ছাত্রদল নেতা জহিরুল ইসলাম মুন্না, বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, এআইডিইউ নেতা ও জাতীয় বিপ্লবী ফ্রন্টের সভাপতি শাহাদৎ হোসেন, ৯টি সংগঠনের সমন্বয়কারী বজলুর রশিদ ফিরোজ, শহীদ দেশপ্রেমিক বিপ্লবী স্মৃতি সংসদের সভাপতি হাসান ফকিরি, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস ও পরিবারের পক্ষ থেকে দীপ্ত প্রমুখ। বক্তাগণ বলেন, ডা. করিম ছিলেন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অনন্য প্রতীক। তিনি সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে সাম্রাজ্যবাদ সামন্তবাদকে ঊচ্ছেদ করে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার নিরলস চেষ্টা করে গেছেন। বক্তাগণ তার জৗবনের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করে বলেন, তিনি ছিলেন এক জীবন্ত ইতিহাসের অগ্রসেনা ও ইতিহাসের কালপঞ্জী। প্রায় ৮ দশক জুড়ে রয়েছে তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের সুদূর প্রসারী কর্মতৎপরতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

উল্লেখ্য, ১৯২৩ সালের ১৫ জুলাই মাতুলালয়ে তাঁর জন্ম। হাজিগঞ্জ, চাঁদপুর সাদরা গ্রামের শিক্ষক হাকিম উদ্দিন ছিলেন তাঁর পিতা। মাতা মেহের নিগার ছিলেন একজন গৃহিনী। পিতা-মাতার সাথে সাথে তার নিঃসন্তান জ্যেঠা-জ্যেঠির আপত্য ¯েœহে বড় হয়েছেন তিনি। তাঁর পিতা চেয়েছিলেন তার সন্তানকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে। ডাঃ করিম তাঁর পিতার আকাক্সক্ষাকে আত্মস্থ করে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেকে একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছিলেন।

১৯৪৩ সালে তিনি ঢাকার মিটফোর্ড মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হন। এখান থেকেই শুরু হয় ডাঃ করিমের জীবনের এক নতুন অধ্যায়। মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রাক্কালেই শুরু হয়ে যায় ’৪৩ এর দুর্ভিক্ষ। দুর্ভিক্ষে তিনি প্রত্যক্ষ করলেন ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের যা তাঁকে নাড়া দিয়েছিল ভীষণভাবে। দুর্ভিক্ষ কবলিত মানুষদের রক্ষায় অন্যান্যদের সঙ্গে তিনিও যুক্ত হয়ে যান। যুক্ত হয়ে যান রাজনীতিতে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং সাপ্তাহিক সেবা পত্রিকার সম্পাদক ডাক্তার এম. এ. করিমের গত ৪ নভেম্বর ২০২১ দুপুর ২:২৫ মিনিটে ৯৮ বছর বয়সে জীবনাবসান হয়।