Home জাতীয় শিল্পায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে জ্বালানি খাতের ভূমিকা অপরিসীম: রাষ্ট্রপতি

শিল্পায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে জ্বালানি খাতের ভূমিকা অপরিসীম: রাষ্ট্রপতি

36

ডেস্ক রিপোর্ট: রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আজ ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, শিল্পায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে জ্বালানি খাতের ভূমিকা অপরিসীম। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিৎকল্পে এবং জ্বালানি ব্যবহারে জনগণকে সাশ্রয়ী ও সচেতন করে তুলতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস ২০২৩’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয়, জ্বালানির সাশ্রয়’ যুগোপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
স্বাধীনতার পর দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি শেল ওয়েল থেকে ১৯৭৫ সালের ৯ আগষ্ট ৫টি গ্যাস ক্ষেত্র সরকারিভাবে গ্রহণ করে জ্বালানি তেলের মজুদ, সরবরাহ ও বিতরণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেন। এসব গ্যাসক্ষেত্র অদ্যাবধি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্বালানি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। জাতির পিতার প্রজ্ঞা ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশে জ্বালানি নিরাপত্তার গোড়াপত্তন ঘটে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে অন্যতম পূর্বশর্ত হলো নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানির যোগান। প্রেক্ষিতে সরকার দেশজ প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে যথোপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ও সুষ্ঠু ব্যবহারের পাশাপাশি অপচয় রোধ নিশ্চিত করা অপরিহার্য। এজন্য প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর একক নির্ভরতা কমিয়ে জ্বালানি-মিশ্র এবং বিকল্প নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করতে হবে। দেশে প্রাকৃতিক জ্বালানি মজুদ বৃদ্ধির জন্য অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার এবং উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ কার্যক্রম আরো বেগবান করতে হবে। এছাড়া ভবিষ্যত উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে জ্বালানি সংক্রান্ত মৌলিক গবেষণা এবং প্রায়োগিক ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে মনোযোগী হতে হবে।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রাকৃতিক গ্যাসসহ সকল প্রাথমিক জ্বালানির নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং অপচয় রোধে আমি সকলকে আরো দায়িত্বশীল ও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে জাতীয় ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস ২০২৩’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”