স্টাফ রিপোটার: তথাকথিত শান্তি সমাবেশের নামে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শান্তি কমিটির মতো অশান্তি সৃষ্টি করে ভীতিকর পরিস্থিতির মাধ্যমে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। বিএনপির
সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আজ এক প্রেস ব্রিফিং এ একথা বলেন।
তিনি অভিযোগ করেন বলেন, , ১১ ফেব্রুয়ারী ইউনিয়ন পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হলেও ঐ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলার মিছিল থেমে নেই। যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালিত হয়েছে, সেখানেও গায়েবী মামলা দেয়া হচ্ছে। এমনকি দিনে কর্মসূচি পালিত হলেও গভীর রাতে আওয়ামী নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে পুলিশ ভাঙ্গাড়ী দোকান থেকে অচল মোটর সাইকেল নিয়ে তা পুড়িয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, মাগুরা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আলী আহম্মেদ, যুগ্ম আহবায়ক আক্তার হোসেনসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দেয়া হয়েছে।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ইউনিয়ন পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নতুন ৪৫টি মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দায়ের করা হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে, এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়েছে ১৭০৬ জনকে, অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে ৪৫১৭ জনকে। সারাদেশে ৬ শতাধিক নেতাকর্মী আহত করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন ১৫ জন। এছাড়াও পুরনো মামলায় অজ্ঞাত আসামী দেখিয়েও গ্রেফতার ও হয়রানী সারাদেশে অব্যাহত গতিতে চলছে। শুধু গ্রেফতারই নয়, সিরাজগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের বসতবাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুলিশের ছত্রছায়ায় হামলা, ভাংচুর, লুটপাট অব্যাহত রেখেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ।