Home রাজনীতি বিনা চিকিৎসায় বন্দী রেখে নেতাদের জীবন বিপন্ন করাটাই অবৈধ সরকারের নীতি :...

বিনা চিকিৎসায় বন্দী রেখে নেতাদের জীবন বিপন্ন করাটাই অবৈধ সরকারের নীতি : রিজভী

27

স্টাফ রিপোটার: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি’র বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কারাগারে বন্দী। ইতোমধ্যে গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে দিন যাপন করছেন। চিকিৎসার বিষয়ে বারবার কারাকতৃর্পক্ষকে বলা সত্বেও এই জনপ্রতিনিধিকে কোন চিকিৎসা দেয়া হয়নি। বিনা চিকিৎসায় কারাগারে বন্দী রেখে বিএনপি নেতাকর্মীদের জীবন বিপন্ন করাটাই অবৈধ আওয়ামী সরকারের নীতি।

তিনি বলেন, মনুষ্যত্ব, মানবতা ও মানবিকবোধ সবকিছুই এদের (সরকার) লোপ পেয়েছে। অবৈধ শাসকগোষ্ঠী দেশে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনীতির স্বাভাবিক ধারাকে বাধা দিয়ে শুধুমাত্র ক্ষমতা ধরে রাখতে সর্বনাশা ধ্বংসের এমন কোন পন্থা নেই যা তারা প্রয়োগ করছে না।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাগারে বন্দী অন্যান্য নেতাদের রোগব্যাধির ভয়াবহতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন অবৈধ আওয়ামী সরকার ও কারাকতৃর্পক্ষ। এটি একটি গভীর চক্রান্তের অংশ। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ঔষুধ প্রয়োগ ও সেটির পরবর্তী জটিল সেবা প্রক্রিয়ার জন্য যে ধরণের প্রস্তুতি প্রয়োজন তা বাংলাদেশের কোন হাসপাতালেই নেই। আওয়ামী সরকার সেই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা না করে প্রতিহিংসা পূরণের পথেই এগুচ্ছে। দেশে—বিদেশে কারাগারে আটক অনেক বিরোধী নেতার বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসার গ্রহণের নজীর থাকলেও বর্তমান সরকার গায়ের জোরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার  উন্নত চিকিৎসা নেয়ার মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

তিনি বলেন, বিএনপি’র লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা চলমান। আর এই বানোয়াট ও অসত্য মামলায় এদের মধ্যে অনেকেই কারাগারে আটক ছিলেন এবং এখনও আছেন। আজ দেড় যুগ ধরে মিথ্যা মামলায় আটক অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন কিংবা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
বিএনপি’র নেতাকর্মীকে প্রান্তবাসী করার জন্য অবৈধ ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বিষাক্ত ফমূর্লা অনুযায়ী দিনের পর দিন কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী সরকার বরাবরই ফ্যাসিজমের ছায়া—উপছায়াকে অনুসরণ করে। কারণ ক্ষমতায় এসেই এরা গণতন্ত্রকে হরণের মাধ্যমে বাকশালী শাসনকে কায়েম করে। এরা ক্ষমতায় এসেই লাশ ফেলে দেয় গণতন্ত্রের। যারা গণতন্ত্র, মানবতা ও নাগরিক অধিকারের জন্য সোচ্চার তাদের প্রতি আজ শেখ হাসিনা ক্রুদ্ধ ও বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং নিজের সাজানো আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালতকে লেলিয়ে দেয় তাদের বিরুদ্ধে।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, গতকাল বিএনপি’র বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদের বুকে প্রচন্ড ব্যাথা উঠলে প্রথমে বিএসএমএম ইউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ তাকে গ্রহণ করেনি। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা গুরুতর। ইতোমধ্যে তার পাঁচটি ব্লক ধরা পড়াতে পাঁচটি রিং পরানো আছে। খুব দ্রুতই তার বাইপাস সার্জারী হওয়ার কথা। তিনি একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ হলেও তার প্রতি সরকারের নির্দয় ব্যবহার এক ভয়ংকর হিংস্রতারই বহিঃপ্রকাশ।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অবিলম্বে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের উন্নত চিকিৎসাসহ মুক্তির আহবান জানান।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, যুগ্ম সাংগঠনিক সেলিমুজ্জামান সেলিম, খালেকুজ্জামান খালেক প্রমুখ।