Home সারাদেশ চাঁদাবাজির সম্রাট’  কাউন্সিলর আসাদ

চাঁদাবাজির সম্রাট’  কাউন্সিলর আসাদ

34

লস্টাফ রিপোটার: রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন বাংলামোটর, পরিবাগ, হাতিরপুল থেকে শাহবাগ মোড়, টিএসসি এলাকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ও পেছনের সড়ক, জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়ক, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালসহ আশপাশের এলাকার ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ছোট-বড় ফুল ব্যবসায়ী, টাইলস ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কাঁচাবাজার, শপিংমল, বিভিন্ন রুটের পরিবহন ব্যবসায়ী কেউ চাঁদার আওতামুক্ত নয়।
 অভিযোগ রয়েছে এই এলাকার ফুটপাতে রাতে দোকান চালাতে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়, তার প্রায় সিংহভাগই চোরা লাইনের। আর এসব কিছু নিয়ন্ত্রণকর্তা হিসেবে নাম আসছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২১ ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদের নাম। অবশ্য তার বক্তব্য ভিন্ন। তিনি বলেন, একটি পক্ষ রাজনৈকিতভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এসব বলছে। আমি জানি কারা এসব করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ নির্বাচিত হয়েই তার আচরণ বদলে গেছে। এলাকার উন্নয়নের চাইতে নিজের উন্নয়নের দিকেই তার নজর বেশি। নির্বাচিত হয়ে ২১ নম্বর ওয়ার্ডকে তিনি পরিণত করেছেন চাঁদাবাজির ‘স্বর্গরাজ্যে’। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণত মানুষের অভিযোগের শেষ নেই।
শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক কমিটির এক সদস্য বলেন, ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বহিঃবিভাগের গেটে ৭০ বছর বয়সী এক দোকানিকে কাউন্সিলর আধিপত্য বিস্তার করতে থাপ্পড় মারেন। এরপর থেকে এই দোকানির থেকে মাসিক চাঁদা নেন। পরিবাগ মোতালেব প্লাজা সংলগ্ন ডক্টর নজরুল ইসলাম একটি নতুন ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানে তিনি চাঁদা দাবি করেন। প্রথমে তাকে বিশ হাজার টাকা তার বন্ধু রুবেলের মাধ্যমে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তিনি রাগ করে সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করেন রাস্তায় অবৈধভাবে মালামাল রাখার অভিযোগে।গ্লোব নিবাস অ্যাপার্টমেন্ট সমিতির এক সদস্য জানান, সমিতির সদস্যেদের মধ্যে ঝামেলা হলে কাউন্সিলর মধ্যস্থতা করতে আসেন। গ্লোব সমিতি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ টাকা নিয়েছেন তিনি। পান্থকুঞ্জ পার্কের পাশ ঘেঁষে রাস্তাটিতে সাধারণত গাড়ি কম চলাচল করে। এই রাস্তায় রাতে ট্রাক থেকে টাইলস নামে। টাইলসের থেকে যে কাঠ বের হয় এগুলো বিক্রি বাবদও তিনি মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা চাঁদা নেন।
হ্যাপি রহমান প্লাজার এক দোকানি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একটা তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে কিছুদিন আগে কাউন্সিলর আসাদ নিজে এসে হ্যাপি রহমান প্লাজার আন্ডারগ্রাউন্ডে তালা মেরে দেন। উক্ত দোকান অবৈধ। পরে মার্কেট কর্তৃপক্ষ কমিশনারকে মাসিক এক লাখ টাকা করে চাঁদা দিবেন বলে চাবি আনেন। এরপর থেকে মাসিক একলাখ টাকা সোহাগ নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি নেন।
এছাড়া শেল বার থেকে মাসিক ৩০ হাজার, সাকুরা বার থেকে মাসিক ২৫ হাজার টাকা নেন আসাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মশিউর রহমান রুবেলের মাধ্যমে। এবং পিকক বার থেকে মাসিক ২৫ হাজার টাকা নেন তিনি।