স্টাফ রিপোটার: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি অনেক ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর চেয়েও মারাত্মক। ডেঙ্গু মশা মানুষকে কামড়ায় আর বিএনপি আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষ পোড়ায়, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ায়। তাই ডেঙ্গুর মতো বিএনপিকেও প্রতিরোধ করতে হবে।’

শুক্রবার সকালে রাজধানীর খামার বাড়ি গোলচত্বরে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ‘ডেঙ্গু রোধে এডিস মশা নিধন ও সচেতনতা তৈরি কর্মসূচি’তে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কর্মসূচির জন্য কৃষক লীগকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাজনৈতিক প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিশেষ অতিথি হিসেবে কর্মসূচিতে যোগ দেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি কখনো জনগণের জন্য রাজনীতি করে না এবং তাদের শীর্ষ নেতারা চায় বিএনপি একটি লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে থাকুক।’

এর উদাহরণ হিসেবে হাছান বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধ বা বন্যা-দুর্যোগে বিএনপি কখনো মানুষের পাশে দাঁড়ায় না, করোনার সময়ও তারা শুধু ফটোসেশন করেছে এবং তাদের রাজনীতি শুধু বেগম জিয়া আর তারেক রহমানের জন্য। এখন তারা আছে তারেক আর জোবায়দার সাজা নিয়ে।

আর তাদের শীর্ষ নেতারা দলের কাউকে কোনো নির্বাচন করতে দেয় না, এমন কি ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌর কাউন্সিলর পদেও কেউ দাঁড়ালে বহিষ্কার করে। যে দল করলে নির্বাচনই করা যায় না, সে দল মানুষ কেন করবে! অর্থাৎ সেই নেতারা চায় বিএনপি একটি লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে থাকুক এবং এ জন্য তারা মিছিলে লাঠি নিয়ে যায়।’

এ সময় ‘বিএনপি নেতাদের ঈমানের জোর কতটুকু তা গয়েশ্বর বাবু আর আমান সাহেবকে দেখে বোঝা যায়’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গয়েশ্বর বাবু আর আমান সাহেব সরকারের সেবা-শুশ্রূষা নিলেন, তারপর বাইরে গিয়ে উলটো সুরে কথা বললেন। গয়েশ্বর বাবু আরাম করে ভালো ভালো খাবার খেলেন, তার বাসার জন্যও দেওয়া হল, না করেননি, ধন্যবাদ দিলেন। তিনিই বাইরে গিয়ে আবার উলটো সুরে বললেন। তারা বোরখা পরে কোর্টে হাজিরা দিতে যান। এদের দিয়ে কোনো আন্দোলন হবে না।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, যে কোনো দুর্যোগে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা জনগণের পাশে থাকে। এবার ডেঙ্গু প্রতিরোধেও আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা সবাই যার যার বাড়ি, আঙিনা, কর্মক্ষেত্র নিয়মিত পরিস্কার রাখবো এবং এই কর্মসূচি সফল করে তুলবো।

কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি’র সঞ্চালনায় সংসদ সদস্য হোসনে আরা, শামীমা আক্তার খানম এমপি, মশক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ সুব্রত দাস এবং কৃষক লীগ নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন।