Home সাহিত্য ও বিনোদন সিনেমাটোগ্রাফার রশিদ রতনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে মানববন্ধন

সিনেমাটোগ্রাফার রশিদ রতনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে মানববন্ধন

37

স্টাফ রিপোটার: চলচ্চিত্র সংসদকর্মী ও চলচ্চিত্র শিক্ষার্থী হুমায়ুন রশিদ রতনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে তার সহকর্মী, বন্ধু, স্বজন ও সহপাঠীগণ আজ ১৯ আগস্ট শনিবার, সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধন থেকে হুমায়ুন রশিদ রতনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় এই তরুণ চলচ্চিত্রকর্মীর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।
মানববন্ধনে জানানো হয়, তরুণ সিনেমাটোগ্রাফার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থী এবং ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির দপ্তর সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ রতন (আবির) এর মরদেহ গত ১৩ আগস্ট ২০২৩, রবিবার, বিকেলে ঢাকার তুরাগ নদীতে ভাসমান অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে। পরিবারের ভাষ্যমতে, হুমায়ুন রশিদ রতন ১২ আগস্ট, শনিবার সন্ধ্যায় মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের বি ব্লকের নিজেদের বাড়ি থেকে বের হয় এবং রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেন নি। পরের দিন রবিবার পুলিশ পরিবারের সদস্যদের নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া লাশ সনাক্ত করার জন্য যোগাযোগ করে এবং পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন যে, হুমায়ুন রশিদ রতন মারা গেছেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মরদেহের পোস্টমর্টেমের পর ১৪ আগস্ট বিকেলে মিরপুর ১১ নম্বরের কবরস্থানে হুমায়ুন রশিদ রতনকে দাফন করা হয়। তরুণ চলচ্চিত্রকর্মী হুমায়ুন রশিদ রতনের মরদেহ নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধারের পর আজ ৬ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও তার মৃত্যুর কারণ কিছুই জানা যায় নি।

ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির আহবানে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন দেশের বরেণ্য চলচ্চিত্রকার মসিহউদ্দিন শাকের, বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ও চলচ্চিত্র শিক্ষক মানজারে হাসিন মুরাদ, চলচ্চিত্রগ্রাহক ও চলচ্চিত্র শিক্ষক পঙ্কজ পালিত, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি বেলায়াত হোসেন মামুন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী আতিকুর রহমান অভি-সহ হুমায়ুন রশিদ রতনের সহকর্মী, বন্ধু এবং সহপাঠীগণ।

মানববন্ধনে হুমায়ুন রশিদ রতন আবিরের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘রহস্যজনক’ বলে মনে করেন চলচ্চিত্রকার মসিহউদ্দিন শাকের। তিনি বলেন, আবির অত্যন্ত মেধাবী একজন চলচ্চিত্রকর্মী ছিলেন। আবিরের সাথে আমার পরিচয় ছিল। তার এমন মৃত্যু কোনোভাবেই গ্রহণ করা যায় না। আমি আমাদের একজন অনুজ চলচ্চিত্র সংসদকর্মীর এই মর্মান্তিক মৃত্যুকে অত্যন্ত রহস্যজনক বলে মনে করি। আমি এই মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।

হুমায়ুন রশিদ রতনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক ও অকাল মৃত্যু বলে বক্তব্য প্রদান করেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি বেলায়াত হোসেন মামুন। তিনি বলেন, আবির আমাদের ম্যুভিয়ানার একজন কর্মী ও সংগঠক ছিলেন। আমি তাকে গত ১৫/১৬ বছর ধরে দেখেছি। সে অত্যন্ত প্রাণবন্ত, উৎসুক এবং বিনয়ী একজন মানুষ ছিলেন। তরুণ একজন সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে আমি দেখেছি সে নিজের কাজের বিষয়ে অত্যন্ত যতœবান একজন চলচ্চিত্রকর্মী। এমন সম্ভাবনাময় একজন তরুণের মৃতদেহ নদীতে কেন ভাসবে? কেন তার এমন মৃত্যু হবে? এই মৃত্যু কোনোভাবেই স্বাভাবিক হতে পারে না। আবিরের মৃত্যুর অনুপুঙ্খ তদন্তের দাবি করছি। আমরা আবিরের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চাই। আমরা চাই আবিরের মৃত্যুর সাথে যদি কেউ জড়িত থেকে থাকে তবে তার বিচার হোক। আবিরের মৃত্যুর ন্যায় বিচার হোক।