Home কৃষি বিএডিসি’র গণশুনানি : বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায় বাংলাদেশ

বিএডিসি’র গণশুনানি : বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায় বাংলাদেশ

35

স্টাফ রিপোটার: বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) আয়োজিত গণশুনানীতে বলা হয়েছে, প্রতিবছর বিদেশে থেকে বীজ আমদানি করে বাংলাদেশ। এতে প্রচুর পরিমাণে টাকা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে চলে যায়। যা দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে। বীজ সরবরাহে বিদেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য আমদানি না করে দেশেই শতভাগ বীজ উৎপাদন করার মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায় বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের সেচ ভবনে বিএডিসি অডিটোরিয়ামে বিএডিসি’র অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) বিষয়ে স্টেক হোল্ডারদের অংশগ্রহণমূলক গণশুনানিতে এ সব কথা বলেন বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি। বিএডিসির মহাব্যবস্থাপক (বীজ) মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বিএডিসির সদস্য পরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা) মো. আব্দুস সামাদ, সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্রসেচ) মো. মজিবর রহমান, সদস্য পরিচালক (অর্থ) মো. আশরাফুজ্জামান, বিএডিসির সচিব মেরিনা সারমীন, বিএডিসি’র মহাব্যবস্থাপক (এএসসি) ওবায়দুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (সার বিভাগ) মো. ফখরুল হাসান প্রধান, মহাব্যবস্থাপক (উদান বিভাগ) মো. জামিনুর রহমান, প্রধান মনিটরিং বিভাগ মো. আব্দুস ছাত্তার গাজী, অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (খামার) মো. আজিম উদ্দিন, অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্স) ড. মো. ইসবাত ও অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (বীপ্রস) দেবদাস সাহা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ বলেন, শহরায়নের কারণে ক্রমেই কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। এ কারণে কম জমিতে অধিক ফসল ফলানোর জন্য হাইব্রীডসহ উন্নত বীজ সরবরাহে বিএডিসি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার কৃষি ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী ভূর্তকী দিচ্ছে। এখনো দেশে কৃষকদের কাছে বিএডিসি’র বীজের চাহিদা সবচেয়ে বেশী। আমরা সেই মেটানোর চেষ্টা করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশের কারণে আজ দক্ষিণাঞ্চলের বিরাট এলাকায় লবণাক্তার কারণে চাষাবাদে ব্যাপক পরিবর্তন আনছে বিএডিসি। আবহাওয়া ও পরিবেশ উপযোগী কয়েকটি প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে উপকুলীয় অঞ্চল, পাহাড়ী অঞ্চল ও হাওড় অঞ্চল উপযোগী বীজ তৈরি করছে বিএডিসি। পাশাপাশি খাল খনন, পানির রিজার্ভার নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গণশুনানিতে কৃষক, ডিলার ও আমদানি ও রপ্তানিকারকগণসহ প্রায় ৩০০ জন অংশ নেন।
গণশুনানিতে অংশ নিয়ে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন উদ্যোক্তা সাহিদা বেগম বলেন, বিএডিসির সহযোগিতা পেলে প্রতিবছর তার পক্ষে প্রয়োজনীয় বীজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
মানিকগঞ্জের ডিলার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএডিসির বীজ ভাল। প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকের কাছে এ বীজের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু প্রয়োাজনের তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় কৃষকরা তা হাতের নাগালে পাচ্ছেন না ফলে অপেক্ষাকৃত বেশি মূল্যে বেসরকারি আমদানিকারকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হচ্ছে যা তাদের জন্য ব্যয় বহুল।