Home রাজনীতি ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধূরী ছিলেন পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অগ্রসৈনিক: আইএফসি

ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধূরী ছিলেন পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অগ্রসৈনিক: আইএফসি

34

ডেস্ক রিপোর্ট: আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি) আজ এক বিবৃতিতে গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধূরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছে, স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী ডঃ চৌধূরী ছিলেন বাংলাদেশের উপর পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অগ্রসৈনিক।
আইএফসি নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আয়োজিত যেকোন সেমিনার, আলোচনা সভা, পথসভা বা বিক্ষোভ ও লংমার্চে তিনি নিজের মনের তাগিদে সবসময় অংশ নিয়েছেন, এবং গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন।
বিশেষ করে ২০০৫ সালের ৪ মার্চ কুড়িগ্রামের চিলমারিতে আইএফসি আয়োজিত স্মরণাতীত কালের বৃহত্তম পানি আগ্রাসন বিরোধী সমাবেশে তাঁর অংশগ্রহন ছিল উল্লেখযোগ্য। ঢাকা থেকে লংমার্চ করে তারা চিলমারি পৌছান। উক্ত সমাবেশে ১০ লাখের বেশী উত্তরাঞ্চলের পানিবঞ্চিত মানুষ সমাবেত হয়েছিল।
ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধূরী তাঁর ডাক্তার ও নার্স দিয়ে চিলমারি সমাবেশের মানুষকে জরুরী স্বাস্থ্যসেবা এবং মেকানিকদের দিয়ে লংমার্চে ব্যবহৃত যানবাহনগুলো রক্ষনাবেক্ষনের ব্যবস্থা করেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের ফিল্ড হাসপাতাল থেকে শুরু করে, সাভারের গ্ণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ঢাকা মহানগরে গ্ণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মাধ্যমে তিনি আজীবন দুস্থ মানুষের সেবা করে গেছেন। তাঁর প্রনীত জাতীয় ঔষধনীতি ১৯৮২ প্রানরক্ষাকারী ঔষধকে সাধারণ মানুষের নাগালে নিয়ে আসে এবং দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রী গড়ে ওঠে। যার ফলে বাংলাদেশ আজ একটি ঔষুধ রপ্তানিকারক দেশে পরিনত হয়েছে।
ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধূরীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের মানুষ তাদের একজন প্রকৃত বন্ধুকে হারালো, যে ক্ষতি কোনদিন পুরণ হবার নয়। মহান আল্লাহ তাঁকে পরকালে শান্তিতে রাখুন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন আইএফসি, নিউ ইয়র্ক চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান সালু, মহাসচিব সৈয়দ টিপু সুলতান; আইএফসি, বাংলাদেশ সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ডঃ এস আই খান, সাধারণ সম্পাদক ইরফানুল বারী ও আইএফসি সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার।