Home জাতীয় ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে

ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে

44

ডেস্ক রিপোর্ট: দিনাজপুর পৌরসভায় সড়কে যানজট লেগেই থাকে। অপরদিকে ফুটপাতগুলো থাকছে ব্যবসায়ীদের দখলে। ফলে পৌরবাসীকে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দেখা গেছে, সকাল হলেই দিনাজপুর শহরস্হ বাহাদুর বাজারের সড়কপথে সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরে মাছের ছোট ছোট পিকআপ ভ্যান মাছ নিয়ে এসে সড়কে ভিড় জমায়। চলে পাম্প নিয়ে মাছ বাঁচানোর কাজ। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তা ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে স্যাঁতসেঁতে। দিনাজপুর শহরের সব সড়কে দিনভর লেগে থাকে যানজট। সোমবার স্টেশন রোড থেকে শুরু করে বাহাদুর বাজার, দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন সড়কে দিনভর যানজট লেগে থাকতে দেখা যায়। এর ওপর সরু সড়ক ও ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে থাকায় পথচলাই দায় হয়ে পড়েছে।

ইউনিভার্সাল ফাউন্ডেশনের মহাসচিব হালিমা বেগম সাদিয়া বলেন, পুরো শহর ঘিঞ্জি পরিবেশে গড়ে উঠেছে। কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এগুলো রোধ করা হয়নি। এখানে কোনো নিয়ম মানা হয় না। যে কারণে অনিয়মের মধ্যেই সবকিছু হচ্ছে। যানবাহন ও যানজট দুইই বেড়েছে।

শহরের অন্তত ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দেখা যায়, এক পাশ ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে। অপর পাশে যানবাহনের জটলা। লিলিমোড়, জেলরোড ঘিরে যানজট তার চিরচেনা রূপেই আছে। লিলিমোড়, সদর হাসপাতাল মোড়, ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে যানবাহনের চাপ ও ইপিজেডের ভারি বাহনের কারণে দিনাজপুরবাসীকে সীমাহীন ভোগান্িত পোহাতে দেখা গেল। সুইহারী বাস টার্মিনালে বাস না ঢুকে সড়কের মধ্যে থেকেই যাত্রী ওঠানো-নামানো করে। গুলশান, মর্ডানমোড়, মাহদহপট্টি, পাহাড়পুর, কোতোয়ালি থানা মোড়ের সামনে ও সুইহারী বাজারে ভয়াবহ যানজট লেগে থাকে। এতে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাস চলতে হিমশিম খাচ্ছে। ব্যবসায়ী মুরসালিন বলেন, ‘ইজিবাইকের উত্পাতের কারণে ব্যক্তিগত গাড়ি চালাতে পারি না। রিকশায় চলাচল করি। সড়কে কোনো শৃঙ্খলা নেই।’ এ ব্যাপারে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা যানজট নিরসনের চেষ্টা করছি। আমরা চাই সকালে অর্ধেক বাহন চলুক, বিকালে বাকি অর্ধেক। দিনাজপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র দুলাল বলেন, পৌরসভায় নিবন্ধিত পায়েচালিত রিকশা আছে ৫ হাজার ২০১টি। এর বাইরে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করে। অন্তত ৩৫ হাজারের মতো ইজিবাইক আছে বলে জানা গেছে।

হাজী মোহম্মাদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. আব্দুল আহাদ বলেন, ‘সড়ক প্রশস্তকরণ, ফুটপাত রাখতে হলে অপরিকল্পিত সব ভবন সিঙ্গাপুরের মতো ভেঙে ফেলতে হবে। এখনো সময় আছে মহাপরিকল্পনা ধরে কাজ করার। প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ একাট্টা হলে সাজানো গোছানো নগর উন্নয়ন সম্ভব। -ইত্তেফাক