ডেস্ক রিপোর্ট: র‌্যাপড বা কাপরে আবৃত মমির ত্রিমাত্রিক চিত্র ফুটিয়ে তুলতে ডিজিটাল মমিফিকেসন প্রযুক্তিতে সফলতা পেয়েছেন কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী। এবার সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ অব্দের বিখ্যাত ফারাও আমেনহোতেপের আবৃত করা মমির চেহারা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।

১৮৮১ সালে আবিষ্কার করা মমিটির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মুখোশ উন্মোচন না করেই উচ্চ প্রযুক্তির এক্স-রে ও সিটি স্ক্যানের পাশাপাশি আধুনিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আমেনহোতেপের চেহারার থ্রিডি চিত্র জনসম্মুখে নিয়ে আসা হলো।

মিশরের পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক সাহার সেলিম এবং প্রাক্তন পুরাকীর্তি মন্ত্রী প্রখ্যাত মিশরবিদ জাহি হাওয়াস এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন।

মমিটির বর্ণনা দিতে গিয়ে সেলিম বলেন, আমেনহোতেপ মারা যাওয়ার সময় তার বয়স ছিল প্রায় ৩৫ বছর, তিনি আনুমানিক ১৬৯ সেমি লম্বা [৫ ফুট ৬ ইঞ্চি], তার খৎনা করানো এবং দাঁতও ছিল সুদর্শন। তার মোড়কের মধ্যে ৩০ টি তাবিজ এবং সোনার পুঁতি সহ একটি সোনার বিছা পাওয়া গিয়েছে।

টমোগ্রাফি স্ক্যান থেকে আরও জানা যায় যে ফারাও, যিনি তার ২১ বছরের শাসনামলে বেশ কয়েকটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছিলেন, দৃশ্যত আঘাত বা অসুস্থতার কারণে কম বয়সেই মৃত্যু ঘটে তার।

উল্লেখ্য, আমেনহোতেপ ছিলেন মিশরের ১৮ তম রাজবংশের ২য় রাজা। তার বাবা আহমোসের মৃত্যুর পর তিনি শাসনের দায়িত্বভার গ্রহন করেন। তিনি ১৫২৫ থেকে ১৫০৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত প্রায় ২১ বছর মিশর শাসন করেছিলেন-আমাদের সময়.কম