আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নাকচ করে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। এ সময় তিনি বলেছেন, এটি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫ এর বিরোধী। এরপরপরই ইমরান খানের সুপারিশে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
দেশটির পার্লামেন্টের ৫নং অনুচ্ছেদ বলছে, দেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন প্রত্যেক নাগরিকের জন্য অলঙ্ঘনীয়। নিয়ম অনুযায়ী আগামী ৯০দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইমরান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন তবে মন্ত্রীসভা বিলুপ্ত হবে।
অনাস্থা প্রস্তাব নাকচ হওয়ায় পর টেলিভিশন বক্তৃতায় ইমরান খান বলেন, দেশবাসী বিদেশি ষড়যন্ত্রে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা নাকচ করেছে। গণতন্ত্রে বিশ্বাসীদের এবার জনগণের কাছে যেতে হবে এবং এরপর নির্বাচন হওয়া উচিত, যেনো জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারা কাকে ক্ষমতায় চায়।
তিনি বলেন, জাতির সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করা হচ্ছে। তবে পাকিস্তানের পরিস্থিতি আল্লাহ দেখছেন, তাই জনগণের চিন্তার কোনো কারণ নেই।’
এর আগে অনাস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে রোববার সাড়ে ১১টার অধিবেশনে অংশ নেন বিরোধী আইনপ্রণেতারা। তাদের অভিযোগ, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুরবস্থা এবং ভুল পররাষ্ট্রনীতি। অনাস্থা ভোটে ৩৪২ আসনের জাতীয় পরিষদে ১৭২ ভোট প্রয়োজন ছিলো।