Home জাতীয় যান্ত্রিক ত্রুটিতে ফের উৎপাদন বন্ধ যমুনা সার কারখানা,২০০ কোটি টাকা জলে

যান্ত্রিক ত্রুটিতে ফের উৎপাদন বন্ধ যমুনা সার কারখানা,২০০ কোটি টাকা জলে

35

সুমন আদিত্য,জামালপুর প্রতিনিধিঃ জলে গেছে যমুনা সার কারখানা লিমিটেডের (জেএফসিএল) ২০০ কোটি টাকা। বিশাল বাজেটে ওভারহোলিং শেষে উৎপাদনে যেতে না যেতেই ফের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফলে দেশের বৃহৎ ও একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী এ প্রতিষ্ঠান গত রবিবার(২৭ মার্চ) সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। উৎপাদন বন্ধ থাকতে পারে মাসাধিককাল। এদিকে শক্তিশালী সিন্ডিকেটের থাবায় বারবার যান্ত্রিক ত্রুটি, শতশত কোটি টাকা লোপাট, আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সংঘাত-গ্রুপিংয়ে কারখানার ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

জেএফসিএল সূত্র জানায়, জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত কেপিআই-১ মানসম্পন্ন যমুনা সার কারখানা গতবছরের শেষদিকে টানা দুইমাস উৎপাদন বন্ধ করে ওভারহোলিং করা হয়। যার পেছনে ব্যয় হয় সরকারের ২০০ কোটি টাকা। ওভারহোলিং শেষে কারখানা পুরোদমে উৎপাদনে গেলেও ফের ইউরিয়া প্লান্টের বয়লারে ত্রুটি দেখা দেয়। পরে যান্ত্রিক ত্রুটি সারাতে রবিবার সকাল ৭টার দিকে কারখানায় সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ রয়েছে, কারখানার অসাধু কর্মকর্তা, সিবিএ ও স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের যোগসাজশে শক্তিশালী সিন্ডিকেট ওভারহোলিংয়ের সিংহভাগ অর্থ ভুয়া বিল-ভাউচারে লোপাট করে। নামেমাত্র কিছু বৈদেশিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করে বাকি কারখানার পুরাতন যন্ত্রাংশ ঘষামাজা করে ওভারহোলিং চলে। কয়েকজন বিদেশি প্রকৌশলী আনলেও অধিকাংশই নিজস্ব জনবল দিয়ে কাজ সম্পন্ন হয়। ফলে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উৎপাদন চালুর কিছুদিনের মধ্যেই ফের বন্ধ হয়ে যায় কারখানাটি। এতে স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও কারখানার ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা বিরাজ করছে।

এব্যাপারে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেন জানান, একটি বয়লার মেরামতের জন্য পূর্বঘোষণা অনুযায়ী উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মেরামত শেষে উৎপাদনে যেতে ২০-২২ দিন সময় লাগতে পারে। এসময়টুকু যথেষ্ট সার মজুত থাকায় কোনো সঙ্কট দেখা দেবে না বলে তিনি জানান।

তবে ওভারহোলিংয়ে অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, যেসব যন্ত্র বিদেশ থেকে আমদানি করার কথা সেসব ঘষামাজা করে লাগানোর সুযোগ নেই।