Home জাতীয় পরিষেবা খাতে ধর্মঘট করলে কারাদন্ডের বিধান রাখায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

পরিষেবা খাতে ধর্মঘট করলে কারাদন্ডের বিধান রাখায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

24

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম যুক্ত বিবৃতিতে জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার উত্থাপিত ‘অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল-২০২৩’ পাস হলে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা খাতে ধর্মঘট করলে ছয় মাসের কারাদন্ড ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রাখায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক প্রতিবাদ লিপি বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারের জন্য প্রেরণ করেন।
যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘এটি আইনে পরিণত হলে পরিষেবা খাতের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া নিয়ে আইন অনুযায়ী ধর্মঘট ডাকতে পারবে না। অথচ বাংলাদেশ শ্রম আইনে ধর্মঘট করার অধিকার প্রদান করা হয়েছে। শুধু তাই না, দাবি আদায়ে শ্রমিকদের ধর্মঘট করার অধিকার আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। পরিষেবা আইনের মাধ্যমে সরকার শ্রমিকদের ধর্মঘট ও ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার সংকুচিত করতে চায়।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘এ আইনের মাধ্যমে জনস্বার্থের অজুহাত তুলে যেকোনো খাতকে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা খাতের অন্তর্ভুক্ত করার নিরঙ্কুশ ক্ষমতা সরকারকে দেয়া হয়েছে। দেশের প্রচলিত শ্রম আইনের সঙ্গে এই বিল যেমন সাংঘর্ষিক তেমনি এ অগণতান্ত্রিক বিলের মাধ্যমে শ্রমিকদের রক্তঝরা সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত অধিকারকে হরণ করা হচ্ছে। সরকারের এ উদ্যোগ চরম স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রকাশ। সরকার শ্রম আইন ও শ্রমবিধি সংশোধন করে ধারাবাহিকভাবে শ্রমিকদের সংগঠন করার অধিকারকে সংকুচিত করছে এবং ইপিজেডসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়ন নিষিদ্ধ করে শ্রমিকদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে।’
নেতারা আরো বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নৌযান শ্রমিকরা ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে নতুন মজুরি কাঠামো আদায় করেছে। যা গত ৩০ মার্চ ২০২৩ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। কিন্তু মালিক সম্প্রদায় শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি বাস্তবায়নে বিভিন্ন অজুহাতে বিলম্ব করছে। এমন অবস্থায় সরকারের ধর্মঘট নিষিদ্ধ করে আইন করার উদ্যোগ মালিকদের স্বার্থ রক্ষা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ অবস্থায় অর্জিত অধিকার রক্ষায় শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাই।’