Home রাজনীতি নির্বাচন কমিশন অভিমুখে বাম জোটের মিছিলে পুলিশি বাধা

নির্বাচন কমিশন অভিমুখে বাম জোটের মিছিলে পুলিশি বাধা

19

স্টাফ রিপোটার: একতরফা নির্বাচনী তফসিল বাতিল, সরকার ও আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে আজ ১৭ ডিসেম্বর সকালে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিল পল্টন মোড় থেকে শুরু হয়ে প্রেসক্লাব-হাইকোর্ট এলাকায় কদম ফোয়ারার মোড়ে পুলিশের বাধাপ্রাপ্ত হয়। এসময় নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশ মারমুখী আচরণ করে।
পুলিশি বাধার মুখে নেতাকর্মীরা সেখানে রাস্তায় বসে পড়ে অবস্থান নেন ও সমাবেশ করেন। এ সময় বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী। সমাবেশ পরিচালনা করেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম। এসময় সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাসদ (মার্কসবাদী)’র নেতা সীমা দত্ত, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশি বাধাদানের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করে এর বিরুদ্ধে জনগণের রায় ঘোষণা করতে হবে। নেতৃবৃন্দ প্রহসনের, ভাগাভাগির নির্বাচনে অংশ নিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের সহযোগী না হওয়ার জন্য নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রতি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আহŸান জানান।
নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশনকে পুতুল নির্বাচন কমিশন হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার অভিযোগে জনগণ এদের ক্ষমা করবে না। নেতৃবৃন্দ সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপকে সংবিধানবিরোধী ও জরুরি আইন জারির সামিল হিসেবে উল্লেখ করে এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ এক সংকটের মধ্যে আছে। তামাশার নির্বাচন সংগঠিত হলে এই সংকট আরও বাড়বে। বিদেশি আধিপত্য দেশকে নতুন সংকটে ফেলতে চাইবে। এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না, হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও তার ভাগবাটোয়ারার সহযোগিদের নির্বাচন। এখানে ‘ইলেকশন’ নয়, হবে ‘সিলেকশন’। এই বিনা ভোটের সংসদ সদস্যদের সম্পদের যেসব তথ্য জনগণ দেখল, তা লুটপাটের অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তাই এই নির্বাচন নতুন লুটপাটের-ভাগবাটোয়ারার নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নির্বাচনী তফসিল বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ মৌলভীবাজার, বগুড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বাম জোটের কর্মসূচিতে পুশিলী বাধাদানের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, পুলিশী হামলা, সভা-সমাবেশে বাধা দিয়ে বামপন্থীদের রাজপথ থেকে সরানো যাবে না।