বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: “ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত” দেয়ার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন এর বিরুদ্ধে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার ঘটনায় প্রগতিশীল ছাত্র জোট তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
একইসাথে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও বিতর্কিত আইন বাতিলের দাবি করেছেন। প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর সভাপতি মাসুদ রানা,সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সভাপতি আল কাদেরী জয়,বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই বিতর্কিত আইনে লেখক মুস্তাককে কারাগারে কার্যত হত্যা করা হয়েছে। ঝুমন দাশসহ শিক্ষক- সাংবাদিক- রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে,গ্রেফতার করা হয়েছে। এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন সংবেদনশীল ব্যক্তিবর্গ এবং প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক সংগঠনসমূহ। আন্দোলনের চাপে শাসকগোষ্ঠীর কর্তাব্যক্তিরা এই আইন সংশোধনের কথা বলেছিলেন। প্রগতিশীল ছাত্র জোট দীর্ঘ দিন ধরে এই আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এরকম সময়ে এই আইনে আবারও মামলা দেয়া হলো।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ২৮ ও ৩১ ধারায় মামলা দেয়া হয়েছে। এই ধারা দুটি ধর্মীয় অনুভূতিতে “আঘাত হানা” সংক্রান্ত। মানুষের ধর্মীয় অনূভুতি এতই সূক্ষ যে কার কোন বিষয়ে ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত করবে সেটা কিভাবে নির্ধারিত হবে বা সেটা কে ঠিক করবে এই আইনে এ সম্পর্কে কোনো কথা নেই। তাই এই আইনের অপব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারসহ ডিজিটাল আইনে গ্রেফতারকৃত সকলের মুক্তি ও এই আইন বাতিলের দাবি জানান।