Home রাজনীতি দেশটার মালিক পুলিশ কিংবা সরকার নয় : গয়েশ্বর

দেশটার মালিক পুলিশ কিংবা সরকার নয় : গয়েশ্বর

35

স্টাফ রিপোটার: দেশটার মালিক পুলিশ কিংবা সরকার নয়। এই দেশের মালিক আব্দুর রহিমের মতো জনগণ উল্লেখ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

হাজার হাজার কোটি টাকা বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। টাকার হিসাব চাইলে গুলি করে মানুষ মারবেন এমন প্রশ্ন তুলেন তিনি।

সোমবার (১ অগাস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এর উ‌দ্যোগে ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহতের ঘটনায় এক প্রতিবাদ সমা‌বে‌শে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

তিনি বলেন, আমরা পুলিশকে দোষারোপ করি, পুলিশ যে গুলি করছে। পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে কে? তাকে আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। এসপিকে বলতে চাই, আপনি পৈতৃক সূত্রে ভোলার মালিক হন নাই। চাকরি করতে গেছেন। সভা শেষে তারা মিছিল করতে চেয়েছে। মিছিল করা কোন অন্যায় নয়। এটা নাগরিক অধিকার। আপনি বাধা দেয়ার কে? আর বাধা দিতে গিয়ে আপনি গুলি করার কে? প্রতিটি গুলির হিসাব আপনাদেরকে দিতে হবে। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, ঈশ্বর যে সকল পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের দীর্ঘায়ু করো। কারণ আমরা নিজের হাতে তাদের বিচার করা না পর্যন্ত ওরা জীবিত থাকে। সরকারের নির্দেশ যদি না থাকতো তাহলে ভোলার এসপি ইতিমধ্যে সাসপেন্ড হতো। যারা গুলি করেছে তারা বিভাগে ক্লোজড হতো।

তিনি আরো বলেন, আমরা পুলিশকে নিয়ে এমন ভাবে কথা বলি যেন মনে হয়, ওরা আমাদের দুলাভাই। প্রজাতন্ত্রে সকল কর্মচারী আমাদের ট্যাক্সের টাকায় চলে। কিন্তু তাদের টাকায় জনগণ চলে না। তারা যদি আমাদের সঙ্গে বে-আইনি করে তাহলে আমরা তাদের সঙ্গে সেরকম করতে পারব।

‘বিএনপি ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠের নেতা-কর্মীদের পাল্টা আঘাতের আহবান জানিয়েছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।’

ভোলায় গতকালের ঘটনায় যারা গুলিবিদ্ধ এবং গুরুতর আহত তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ভোলায় কর্মীদের সমাবেশ ও মিছিলের মধ্যে পুলিশের বেপরোয়া গুলিতে হারিয়ে গেল আমাদের এক সহযোদ্ধা আব্দুর রহিম। ঢাকার দুইটি মেডিক্যালে এখন যারা চিকিৎসাধীন আছেন তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, মোবাইলে ছবি তোলা, ভিডিও করা আর শেয়ার দেওয়ার মধ্যেই নেতাকর্মীরা তাদের দায়িত্ব সারছেন। রহিমের মৃত্যুতে কেন তাৎক্ষণিক নেতাকর্মীরা সারাদেশে আগুন জ্বালিয়ে না দিয়ে নির্দেশের অপেক্ষায় থাকে।

কারো নির্দেশের অপেক্ষায় বসে না থেকে যার যার জায়গা থেকে প্রতিবাদ,প্রতিহত করার ইঙ্গিত দিয়ে গয়েশ্বর আরও বলেন, আব্দুর রহিমের মতো মানুষ মারা যাবে, আর বক্তৃতা দেব, আর বসে বসে চিনা বাদাম খাবো। এটা হয় না। আন্দোলন করতে গিয়ে কেউ একা নয়। সকল সংগঠনকে মাঠে নামতে হবে। তাদেরকে জবাব দিতে হবে। এরা রক্ত পিপাসু এদের সঙ্গে সুন্দর সুন্দর কথা সুন্দর বাক্য বিনিময়ের দরকার নাই। যেখানে হাত ছাড়া কথাই চলে না সেখানে হাতই ব্যবহার করতে হয়। আপনারা সব বোঝেন তাই যখন যেখানে ঘটনা ঘটবে সারা দেশে যে যেখানে আছেন মুহূর্তের মধ্য বেরিয়ে পড়বেন। আজকে আমাদের না পেয়ে ঘরের মানুষদেরকে ধরে নিয়ে যায়। সুতরাং এরা যদি নিয়মের বাহিরে আইনের বাহিরে কাজ করতে পারে, এদের সাথে আমার আইনের ভাষায় কথা বলার প্রয়োজনটা কি?

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম সারওয়ার, ইয়াসীন আলীসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।