Home জাতীয় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক: প্রভাবশালীরা করে গড়ে তুলেছে দোকান ও সিএনজি স্ট্যান্ড

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক: প্রভাবশালীরা করে গড়ে তুলেছে দোকান ও সিএনজি স্ট্যান্ড

37

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন স্থানে দুই পাশ দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এছাড়া মহাসড়কের যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং আর অবৈধভাবে সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড বানানো হয়েছে। এতে মহাসড়কে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক যানজট। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
গতকাল শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলে এমন চিত। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক বিভাগ বলছে শিগগিরই এসব অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচলনা করা হবে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এন টু,আন্তঃজেলা মহাসড়ক এন ১২ খাঁটিহাতা বিশ্বরোড় মোড়, কুট্টাপাড়া, শাহবাজপুর এলাকায় এসব অবৈধ স্থাপনা ও সিএনজি স্ট্যান্ড এর যানযট দুর্ঘটনার কারণ। এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে সড়ক দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি প্রায়ই ঘটছে নানা ধরনের মারাত্মক দুর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড এলাকা। সারাদেশের সাথে যোগাযোগের জন্য এ জায়গাটি অতিক্রম করতে হয়। যে কারণে প্রতিদিন এখানে কয়েকশ’ গণপরিবহণের যাত্রী উঠা নামা করে। গণপরিবহণে পাশাপাশি এখানে রয়েছে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই পয়েন্টে চারপাশ দখলে নিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী অবৈধ দখলদাররা।
এদিকে বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) জায়গায় অবৈধ স্থাপনা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড গড়ে তোলার ঘটনায়।
প্রভাবশালীরা একচালা ঘর বানিয়ে বসিয়েছেন বিভিন্ন খাবার হোটেল, ফল ও চা দোকান। কোন কোন দোকানদার তাদের পণ্যগুলো মহাসড়ক এলাকায় রাখার কারণে দূর্ভোগ বেড়ে যায় আরও কয়েকগুণ। বিশ্বরোড মোড়ে চারটি সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে স্থানীয় প্রভাবশালী শ্রমিক নেতারা। প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী উঠানামা করে। অপরদিকে মহাসড়কের দুইপাশ দখল করে বসছে অস্থায়ী বাজার। ছোট ছোট দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করছে অন্তত দুই শতাধিক ব্যক্তি। পাশাপাশি গড়ে উঠেছে সিএনজি অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যাত্রীবাহী গাড়ির স্ট্যান্ড। স্থানীয় এক পথচারী বলেন, প্রতিদিন শতশত সিএনজি দাঁড়িয়ে থাকে। এতে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি জানান, অবৈধ স্থাপনা দোকান থেকে ৮০-৩৫০ টাকা প্রতিদিন দোকান ভাড়া তুলেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বিশ্বরোড মোড়ে উত্তর পশ্চিম কোনে সড়কের উপর অবৈধ অটো রিক্সার স্ট্যান্ড থাকায় হচ্ছে চাঁদাবাজি ও যানযট যাহা দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, সড়ক বিভাগ এর আগেও কয়েকবার উচ্ছেদ করছে। কিন্তু কিছুদিন পর আবারও অবৈধ দোকানপাট বসে যায়। খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহজালাল আলম জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা প্রায়ই উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আবার বসে যায়। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক জানান, গত বছর মহাসড়কের বিশ্বরোড ও সহিলপুর উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।