Home জাতীয় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ইলিশ।। মৎস্য বন্দর আলীপুর মহিপুর এখন সরব

জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ইলিশ।। মৎস্য বন্দর আলীপুর মহিপুর এখন সরব

54

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। সাগরে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ধরা পড়ছে এসব মাছ। তাই জেলে, শ্রমিক, ব্যবসায়ীদের হাঁকডাকে সরব পুরো মৎস্য বন্দর। বেচাকেনা চলছে হরদমে। দিন রাত চোখে পরার মতো কর্মব্যস্ততা মৎস্য আড়ৎ গুলোতে। সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পরায় খুশি আড়ৎদার ও জেলেরা। মাছের চড়া দাম থাকায় হতাশা প্রকাশ করলেন পাইকারী ক্রেতা ও বিক্রেতারা। এদিকে বরফ সংকটের কারণে অনেক মাছ নষ্ট হয়ে গেছে বলে মৎস্য ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রয়েছে। তবে ঘনঘন বিদ্যুৎ লোডশেডিং এর কারণে চাহিদামত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারায় বরফের কিছুটা সংকট রয়েছে বলে বরফ কল মালিকরা জানিয়েছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েক দিন আগেও যেখানে ছিল সুনসান নীবরতা, সেই মৎস্য বন্দরে এখন মানুষের কোলাহলে মুখর। গভীর সমুদ্র থেকে একের পর এক মাছ ধরা ট্রলার বোঝাই হয়ে আসছে। আর টুকরিতে করে শ্রমিকরা মাছ তুলে নিয়ে যাচ্ছে আড়তে। সেই মাছ বিক্রি করছেন আড়ৎ মালিকার। ক্রয়কৃত মাছ প্রক্রিয়াজাত করে ক্রেতারা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন। এসব আড়ৎ ঘাটের সামনে মাছ পরিবহনের জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রাক ও পিকআপ।
জেলে ও স্থানীয়রা জানান, সাগরে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর জাল ফেলে এফ বি মুরছালিন ১২০ মন, এফ বি প্রিন্স ১৮০ মন, এফ বি আব্দুল সত্তার ১৫০, এফ বি মফিজ ৭৫ মন, এফ বি খালেক ৯৫ মন, এফ বি তামান্না ট্রলারে ১০ মন মাছ পেয়েছে। এসব মাছ তারা স্থানীয় আড়তে বিক্রি করেছেন। তবে বড় সাইজের মাছ ৪৮ হাজার টাকা মন দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া মাঝারি সাইজের মাছ ২৪ থেকে ২৫ হাজার ও ছোট মাছ সাইজের মাছ ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হয়।
এফবি জুবায়ের ট্রলারের মাঝি আনিসুর রহমান বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে গিয়ে প্রথম বারের মত জাল ফেলে তিন লাখ বার হাজার টাকার মাছ পেয়েছেন। তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রয়োজনীয় বাজার সদায় নিয়ে আবারো মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে গভীর সমুদ্রে রওয়ানা করবেন বলে তিনি জানান।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ি মো.মনির হাওলাদার বলেন, এক সময় ফেড়ি যোগাযোগের জন্য গন্তব্যে পৌঁছাতে অপেক্ষা করতে হতো র্দীঘ সময়। ফেরিঘাটে যানজটে আটকা পড়ে নষ্ট হয়ে যেত মাছ। আর সেই মাছের দামও কমে যেত। এখন এই মৎস্য বন্দরে আমুল পরিবর্তন হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই পদ্মা সেতু পাড় হয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মৎস্য বাজারে পৌঁছে যাচ্ছে দক্ষিনের সামুদ্রিক মাছ।
আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন,বর্তমানে গভীর সমুদ্রে বেশ ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে কিনারে তেমন ইলিশ পড়ছেনা। তাই ছোট ছোট ট্রলারের জেলেরা আশানুরুপ মাছ পাচ্ছেনা। এছাড়া সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর জেলেদের জালে প্রচুর পরিমানে মাছ ধরা পরায় জেলে, ব্যবসায়ি, শ্রমিকদের মাঝে অনন্দ বিরাজ করছে।