Home রাজনীতি জুরাছড়িতে শিক্ষার্থীসহ দুইজনকে শারিরীক নির্যাতনের ঘটনায় পিসিপি’র নিন্দা

জুরাছড়িতে শিক্ষার্থীসহ দুইজনকে শারিরীক নির্যাতনের ঘটনায় পিসিপি’র নিন্দা

57

চট্টগ্রাম অফিস: রাঙামাটির জুরাছড়িতে সেনাবাহিনী কর্তৃক ৯ম শ্রেণীর ছাত্র সহ দুই জনকে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা।

আজ রবিবার (৯ জুলাই ) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি রিপন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক তনুময় চাকমা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

নেতৃদ্বয় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যুগ যুগ ধরে সেনাশাসন চলতে থাকায় পাহাড়ি জনগণ প্রতিনিয়ত অনিরাপদ জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। নিজ বাড়ি, এলাকায় কিংবা রাস্তা, ছড়ায় চলাফেরা করতে গেলেও নিরাপত্তা নিয়ে তাদেরকে ভাবতে হয়। কখন যে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ধরে নিয়ে নির্যাতন করে, কখন যে বিনা দোষে আটক করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে, গুম-খুন-অপহরণের মতো জঘণ্যতম ঘটনা ঘটায় এ নিয়ে প্রতিনিয়ত আশঙ্কায় দিন কাটাতে হয়। তার প্রমাণ হল গত ৭ জুলাই ২০২৩ সন্ধ্যায় রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলা সদর এলাকায় ভদ্রমাছড়া নামক স্থানে কাঁকড়া ধরার সময় ৯ম শ্রেণীর ছাত্র রুবেল চাকমা ও আরেক যুবক শান্তি চাকমাকে সেনাবাহিনী কর্তৃক যক্ষাবাজার ক্যাম্পে ধরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা।

পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সেনাশাসন তুলে নিতে হবে মন্তব্য করে নেতৃদ্বয় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশে অবিচ্ছেদ অংশ হলেও সরকার পাহাড়ে সেনাশাসন চালু রেখে জনগণের ওপর শাসন-শোষণ, নিপীড়ন-নির্যাতন চালাচ্ছে। সেনাশাসনের ফলে পাহাড়ি জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশ করার অধিকারসহ বাক-স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হচ্ছে। পাহাড়ি জনগণের প্রতিবাদী কন্ঠকে রুদ্ধ করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র, ভূমি বেদখল, নারী ধর্ষণ, নির্যাতনসহ জাতিধ্বংসের নীলনক্সা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পাহাড়ি জনগণের এই দুর্দশা দূর করার জন্য অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাশাসন ‘অপারেশন উত্তরণ’ ও অস্থায়ী সকল সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করে পাহাড়ে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চত করতে হবে।