Home সারাদেশ কলাপাড়ার মিঠাগঞ্জ বেরিবাঁধে ভাঙ্গন।। আতঙ্কে পাঁচ গ্রামের মানুষ

কলাপাড়ার মিঠাগঞ্জ বেরিবাঁধে ভাঙ্গন।। আতঙ্কে পাঁচ গ্রামের মানুষ

42

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: মাত্র তিন মাস আগে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নে ৯০ মিটার বাঁধ জরুরী মেরামত করা হয়। কিন্তু গত এক সপ্তাহ আগে সেই বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বাঁধের রিভার সাইডের ১০০ ফুট মূল বাঁধ ¯েøাবসহ বাঁধ রক্ষায় দেয়া জিওব্যাগ ধ্বসে আন্ধারমানিক নদীতে পড়ে গেছে। ভাঙ্গন শুরু হয়েছে বাঁধের কান্ট্রি সাইডেও। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় ফাঁটল। এ কারণে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে পাঁচটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, নদীর গভীরতা বেশি থাকায় বাঁধেব ভাঙ্গন ঠেকানো যাচ্ছে না। সরেজমিন পরিদর্শন করে বাঁধ জরুরী মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।
জানা গেছে, ৪৭/৪ পোল্ডারের মিঠাগঞ্জ বেড়িবাঁধ ২০০৭ সালের সিডরের জলোচ্ছ¡াসে ভেঙ্গে সাতজন নারী ও শিশু মারা যায়। ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যায় দুইটি ¯øুইসগেট। এরপর প্রায় পাঁচ বছর ভাঙ্গা বাঁধের কারণে ওই ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের মানুষ বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই পানিতে ডুবে থাকতো। বন্ধ হয়ে যায় চাষাবাদ। পরবর্তীতে এলাকার মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে কয়েকদফা এ বেরিবাঁধ মেরামত হলেও আবার শুরু হয় ভাঙ্গন। বেরিবাঁধের মিঠাগঞ্জ পয়েন্টে প্রায় একশ ফুট মুল বাঁধ ¯েøাবসহ ধ্বসে পড়েছে। অথচ এই বেরিবাঁই তিন মাস আগে জিওব্যাগ ফেলে পুঃন মেরামত করা হয়েছিল। অপরিকল্পিতভাবে বাঁধের প্রবাহমান আন্ধারমানিক নদীর রিভার সাইডে বাঁশের তৈরি পাইলিং দিয়ে জিওব্যাগ দিয়ে বাঁধ রক্ষার ব্যবস্থা করায় নদীর ¯্রােতে তা ভেঙ্গে সরে গেছে। এ কারণে বাঁধের রিভার সাইডের জিওব্যাগ সরে গিয়ে মূল বাঁধে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
বেরিবাঁধ ঘেষা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, বর্তমানে বাঁধের যে অবস্থা তাতে মুলবাঁধ এই বর্ষায় ভেঙ্গে বিলীন হযে যেতে পারে। বাঁধের রিভার সাইড ও কান্ট্রিসাইড দুই দিকেই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এ কারণে তারা এ বছর আমন ফসল উৎপাদন করতে পারবেন কিনা এ নিযে শঙ্কায় রয়েছেন।
মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মেজবা উদ্দিন খান দুলাল বলেন, যে অবস্থায় বাঁধে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে গোটা ইউনিয়নের মানুষ উদ্বিগ্ন। জরুরিভিত্তিতে বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ না নিলে এ বাঁধ আন্ধারমানিক নদীতে বিলীন হয়ে প্লাবিত হতে পারে বাঁধ ঘেষা পাঁচটি গ্রাম।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.খালেদ বিন অলীদ বলেন, তারা বাঁধের ওই স্থান জরুরী মেরামত করেছিলেন। বাঁধের ভাঙ্গা অংশে নদীর পানির গভীরতা বেশি থাকায় শুধু জিওব্যাগ ফেলে এ বাঁধ রক্ষা করা যাবে না। তবে সরেজমিন পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান ।