Home জাতীয় উজিরপুরে শিক্ষক কর্তৃক মাদ্রাসার ছাত্রকে ৫০টি বেত্রাঘাত, থানায় অভিযোগ

উজিরপুরে শিক্ষক কর্তৃক মাদ্রাসার ছাত্রকে ৫০টি বেত্রাঘাত, থানায় অভিযোগ

48

উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুরে শিক্ষক কর্তৃক মাদ্রাসায় পড়ূয়া ছাত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ ও আহত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দামোদরকাঠী গ্রামের ইউসুফ খলিফার ছেলে আটক মেধাপাড়া নূরানী তালিমূল কোরআন মাদ্রাসার তৃতীয় জামায়ের ছাত্র আশ্রাফুল খলিফা(১২) একদিন মাদ্রাসায় অনুপস্থিত হওয়ায় পরের দিন ৩১ অক্টোবর সকাল ১০টায় ক্লাসে ঢোকা মাত্র ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মামুনুর রশিদ আশ্রাফুলকে বেঞ্চের উপরে কান ধরিয়ে দাঁড় করে এলোপাথাড়ি ভাবে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করেছে। স্থানীয়রা আহত ছাত্রকে উদ্ধার করে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদিকে মারধরের ঘটনা ধামাচাপা দিতে সুচতুর অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক হাসপাতাল থেকে ছাত্রের পরিবারকে ফুসলিয়ে এলাকায় শালিস বৈঠকের কথা বলে আহত শিক্ষার্থীকে বাড়ি নিয়ে যায়। ৪ নভেম্বর শোলক ইউপি চেয়ারম্যান ডাঃ আব্দুল হালিমের বাড়িতে শালিস বৈঠকের দিন ধার্য হয়। আহতর বাবা ইউসুফ খলিফা ও তার মানিত শালিসদের নিয়ে উপস্থিত হন। কিন্তু প্রভাবশালী শিক্ষক শালিস বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে তালবাহানা শুরু করেন। কোন উপায়ান্তর না পেয়ে বাবা ইউসুফ খলিফা বাদী হয়ে ৬ নভেম্বর উজিরপুর মডেল থানায় অভিযুক্ত শিক্ষক মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। আহত শিক্ষার্থী আশ্রাফুল খলিফা সাংবাদিকদের কান্না করে বলে আমি একদিন মাদ্রাসায় না যাওয়ায় আমাকে বেঞ্চের উপর দাঁড় করিয়ে কান ধরিয়ে ৫০/৬০বার বেত দিয়ে পিটায়। আহতর বাবা ইউসুফ খলিফা জানান, আমরা স্বপরিবার একদিনের জন্য বেড়াতে গিয়েছিলাম। তাই আমার ছেলে একদিন মাদ্রাসায় যেতে পারেনি। তাই পরের ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে আমি নিজে হুজুরকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বুঝিয়ে বলে বাড়িতে ফিরে আসলে এর কিছুক্ষণ পরেই আমার নাবালক শিশুকে বেঞ্চের উপর কান ধরে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলাপাথাড়ি ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। আমরা গরীব অসহায় হওয়ায় কি বিচার পাব না ? অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা উজিরপুর মডেল থানার এস.আই হায়দার জানান, অভিযোগের বিষয়টি ৯ নভেম্বর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করা হবে। অভিযুক্ত শিক্ষক মামুনুর রশিদ মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার ভুল হয়েছে। এতটা মারা ঠিক হয়নি। পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক জানান, মারধরের ঘটনার সময় আমি মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলাম না। তবে বিষয়টি শুনে মিমাংশার চেষ্টা করেছি। স্যার ছাত্রকে মারধর করেছেন তা নিয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ার কিছু নেই। অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অভিযুক্ত শিÿকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন আহতর পরিবার ও এলাকাবাসী।