Home জাতীয় বাউফলে আ’লীগের বর্ধিত সভায় সংঘর্ষ : আসম ফিরোজের ইন্ধনে হামলার অভিযোগ

বাউফলে আ’লীগের বর্ধিত সভায় সংঘর্ষ : আসম ফিরোজের ইন্ধনে হামলার অভিযোগ

42

বরিশাল অফিস : আসন্ন বাউফল পৌরসভার নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই’র লক্ষে আয়োজিত উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মী, ইউপি চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক সহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদ হাসান (৩৫), বগা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন (৩৪), মিজান মোল্লা (৪০), স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সুমন (৩০) ও বগা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আশ্রাফ (২৮)কে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসন্ন বাউফল পৌরসভার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী বাছাই’র উদ্দেশ্যে সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনে বিশেষ বর্ধিত সভা আহবান করা হয়। ওই সভায় স্থানীয় এমপি আসম ফিরোজ, দলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফারুক সহ কয়েকশ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক আলকাস মোল্লা বক্তব্য শুরু করেন। তৎসময়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদের মোবাইলে কল করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেয়ার ইচ্ছে ব্যক্ত করেন। তখন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাস মোল্লাকে উদ্দেশ্য করে বলেন,‘ আপনিতো বহিস্কৃত নেতা। আপনার বক্তব্য দেয়ার প্রয়োজন নেই।’এখন মোবাইল ফোনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বক্তব্য দিবেন। আপনি বসেন।’ এসময় চেয়ারম্যান আলকাস মোল্লা দলের সাধারণ সম্পাদকের সাথে তর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম ফারুকের ছেলে সৌমিক, যুবলীগ নেতা মোহন, মিজান মোল্লা ও শামিমের নেতৃত্বে শতাধিক লোক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে ও বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসানকে আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনের ভেতর থেকে টেনেহেচরে বাইরে নামিয়ে এলােপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। তখন চেয়ারম্যান হাসানের লোকজন তাকে উদ্ধার করতে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। মারামারিরর দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে মাইটিভির বাউফল প্রতিনিধি ও বাউফল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অহিদুজ্জামান ডিউক ও যুগান্তর প্রতিনিধি জিএম মশিউর রহমান মিলন, কালাইয়া ইউনিয় যুবলীগের সভাপতি মিজান মোল্লাসহ সহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। ওই সময় সাংবাদিক মিলনের মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে ধারণকৃত ভিডিও মুছে ফেলে। পরে মোবাইল ফোনটি ফেরত দেয় । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে শহরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন,‘ এমপি আসম ফিরোজের ইন্ধনেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমার নেতাকর্মীদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত গাড়িতে হামলা করা হয়েছে।’ এ ব্যাপারে এমপি আসম ফিরোজকে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।