Home জাতীয় ঈদে নৌযান ও ফেরি চলাচলে দিকনির্দেশনা

ঈদে নৌযান ও ফেরি চলাচলে দিকনির্দেশনা

17

ঈদের পূর্বে ৩ দিন পরে ৩ দিন ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান পারাপার বন্ধ থাকবে

স্টাফ রিপোটার: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

আসন্ন ‘পবিত্র ঈদুলফিতর ২০২৪’ উপলক্ষ্যে ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযানসমূহ সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্মপন্থা গ্রহণেনিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

আসন্ন ঈদুলফিতর এর পূর্বে ৩ দিন ও ঈদের পরে ৩ দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে; আবহাওয়া সংকেত অনুসরণপূর্বক লঞ্চ পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে; ঈদুলফিতর, ২০২৪ কালবৈশাখী মৌসুমে বিধায় অধিকতর সতর্কতার সাথে নৌযান পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে; রাতের বেলায় সকল প্রকার বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া আগামী ৬ এপ্রিল হতে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত দিন রাত সার্বক্ষণিক সকল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখতে হবে; অভ্যন্তরীণ নৌপথে ফিটনেসবিহীন নৌযান ও ফেরি চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে; অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রি সাধারণের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতের নিমিত্ত ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়ার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলাকাভিত্তিক/পর্যায়ক্রমে ছুটি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; নৌপথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ও সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র হটলাইন নম্বরঃ ১৬১১৩-তে যোগাযোগ করবেন। সকল প্রকার যাত্রী হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা যাবে না। এক্ষেত্রে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা হলে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; কোনোক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না; ঈদের আগে ৫দিন সদরঘাট হয়ে নির্গমনকারী সকল যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহন সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ এবং ঈদের পরে ৫দিন অন্যান্য নদী বন্দর হতে সদরঘাটে আগনমকারী সকল যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে; ঈদের আগে ও পরে লঞ্চের মাধ্যমে মোটর সাইকেল পরিবহণ করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে গত বছরের ঈদুল আজহা, ২০২৩ উপলক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক নির্ধারিত হারে প্রতিটি লঞ্চে মোটর সাইকেল পরিবহনের জন্য ভাড়া আদায় করতে হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাতের বেলায় স্পিডবোট চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার এবং দিনের বেলায় স্পিডবোট চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধানের বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।

নদীর মাঝপথ থেকে নৌকা দিয়ে লঞ্চে/নৌযানে যাত্রী উঠানো যাবে না। এজন্য নৌপুলিশ, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক সার্বক্ষণিক টহল দিয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।