Home সারাদেশ পাল্টে গেছে ভূমি অফিসের চিত্র

পাল্টে গেছে ভূমি অফিসের চিত্র

78

ভূমির অভিযোগসহ নানা বিষয়ে গণ-গুনানী করলেন ডেমরা সার্কেল সহকারি কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার: ‘ইচ্ছে থাকলেই অসাধ্যকে সাধন করা সম্ভব’ ভূমির অভিযোগসহ নানা বিষয়ে গণ-গুনানী করে এটি আবারো প্রমান করলেন ডেমরা সার্কেল সহকারি কমিশনার (ভূমি), এন. এম. আবদুল্লাহ-আল মামুন। এরইমধ্যে সেবাগ্রহিতাদের মন জয় করে ৪৭ টয়েনবি সার্কুলার রোড অবস্থিত,জয়কালী মন্দিরের পাশে অবস্থিত ভ’মি অফিসের চিত্র পাল্টে দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকাল সারে ৯টায় থেকে ১০টা ৩০মিনিট পয়ন্ত সহকারি কমিশনার (ভ’মি) ডেমরা রাজস্ব সার্কেল-এ নামজারি-অনলাইনে ভ’মি উন্নয়নকর আদায় ও মিসকেইস নিষ্পত্তিসহ নানা বিষয়ে গণ শুনানী করেন। এতে প্রায় শতাধিক ভুক্তভোগি গণশুনানীতে অংশ নিয়ে এন. এম. আবদুল্লাহ-আল মামুনের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেমরা রাজস্ব সার্কেলের কানুনগো মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্, সাভেয়ার মো: আনোয়ার হোসেন সহ কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ।
গণ-শুনানীতে অংশ নিয়ে ভ’মিদ্যশুদের বিরুদ্ধে কথা বলেন ডগাইর বাজারের বাসিন্দা (ডগাইর মৌজা) মো: শাজাহান ভ’ইঁয়া, সেকান্দার ও মাজহার ভ’ইঁয়া, মাতুয়াইল (মৌজার) বাদশা মিয়া রোডের মিন্টু চত্তরের বাসিন্দা মো: হুমায়ুন কবিরসহ অন্তত ১২জন নাগরিক। এ সময় মো: শাজাহান ভ’ইঁয়া কমিশনারকে অবহিক করে বলেন, সম্প্রতি সময়ে কিছু ভ’মিদ্যশু জ¦াল দলিলের মাধ্যমে নামজারি করতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। এদের বিষয়ে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিতে হবে। আমরা জানি আপনি একজন সৎ-আর্দশবান মানুষ। তাই এই গণশুনানীতে অংশ নিয়েছি। জবাবে আবদুল্লাহ-আল মামুন বলেন,আপনারা নিশ্চিত থাকুন, আমি যতদিন আছি, এখানে কোনো ধরনের অন্যায় কাজ হবে না। মিস কেইস নিষ্পত্তি বিষয়ে এসেছেন মো: হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, বসতবিটার মামলা নিয়ে প্রতি মাসে একবার আসতে হচ্ছে। দয়া করে আমার মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করলে ভালো হতো। এ সময় সহকারি কমিশনার (ভূমি), এন. এম. আবদুল্লাহ-আল মামুন সার্ভেয়ার মো: আনোয়ার হোসেনকে সরজমিনে তদন্তের নির্দেশ দেন। সহকারি কমিশনার বলেন,আইন আইনের মতো চলবে। তবে আপনাদের মতো মানুষের সেবা দেওয়ার জন্যই আমরা এখানে বসে কাজ করছি। আশা করছি দ্রুত সমাধান পাবেন। একইভাবে আরো অনেকেই গণশুনানীতে অংশ নিয়ে নানা বিষয় তুলে ধরেন এবং সহকারি কমিশনার তাদের অভিযোগগুলো দ্রুত শেষ করার আশ^াস দেন।
যেভাবে পাল্টে গেল ভূমি অফিসের চিত্র: বহিরাগত দালালের দৌরাত্ম্য, হয়রানি ও তৃতীয় শ্রেনির কর্মকর্তাদের বাড়তি টাকা আদায়, ভূমি অফিস নিয়ে সেবাগ্রহীতাদের এসব নেতিবাচক ধারণা এবং অনলাইনে ভ’মি উন্নয়নকরসহ নানা বিষয়ে সেবাগ্রহিতাদের অবহিত করেন। একইসাথে অফিসে কর্মরত কারো সাথে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন না করার ধারনা দেন। আর অফিসে কর্মরত স্টাফদের সততার সাথে শতভাগ জীবন-যাপনের আহ্বান জানান ডেমরা রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি), এন. এম. আবদুল্লাহ-আল মামুন। যোগদানের মাত্র ৬ মাসের মধ্যে সাড়ে ৮ হাজার ৪শতাধিক নামজারি ও শতাধিক মিসকেস নিষ্পত্তি করে তাকে লাগিয়ে দিয়েছেন ডেমরা রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এন. এম. আবদুল্লাহ-আল মামুন। যেখানে নিজের জমি খারিজ করতে সময় লাগতো ছয় মাস থেকে এক বছর। সেই খারিজ সম্পূর্ণ করতে এখন সময় লাগে মাত্র ২৮ দিন। ডেমরা রাজস্ব সার্কেল (ভূমি) কার্যালয়ের চিরচেনা জটিলতা দূর করে দিয়েছেন এই এক কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, এই কার্যালয়কে ডিজিটাল ও আধুনিক করে গড়ে তুলেছেন তিনি।
সরজমিনে দেখা যায়, পুরো কার্যালয় পরিপাটি করে সাজানো। ভবনের বাইরে টবে নানা প্রজাতির ফুল, ফল ও সৌন্দর্যবর্ধন গাছ। গেইটে প্রবেশ করে একটু সামনে এগুতেই চোখে পড়বে পুরো অফিসের ফ্লু চার্ট। এর পাশেই সাঁটানো সিটিজেন চার্টার। এতে জমির নামজারি করতে খরচ, খতিয়ান তোলার খরচ, খাসজমি বন্দোবস্ত নিতে করণীয়, কোন বিষয়ে কার সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে। এসব তথ্য লেখা রয়েছে।