Home জাতীয় কলাপাড়ায় জোয়ারের পানি তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম

কলাপাড়ায় জোয়ারের পানি তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম

43

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: জোয়ারের পানি প্রবেশ করে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে গেছে। পূর্নিমার প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদ-নদীর পানির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে গত দু’দিন ধরে উপজেলার লালুয়া ও চম্পাপুর ইউনিয়নের ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে অন্তত ১৩ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া দু’দফা জোয়ারে পানিতে বন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর ফসলী জমি। ভেসে গেছে বেশ কিছু ঘের ও পুকুরের মাছ। বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে বেড়িবাঁধের বাহিরের বসবাসরত নিন্ম আয়ের মানুষ। তাই ভাঙা বেড়িবাঁধ পুন:নির্মান কিংবা মেরামতের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণিমার প্রভাবে সাগর ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জোয়ারের পানি ঢুকে পরে ইতোমধ্যে লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া, বুড়োজালিয়া, মুন্সিপাড়া, মঞ্জুপাড়া, নাওয়াপাড়া, চাড়িপাড়া, বানাতিপাড়া, পশুরবুনিয়া, হাসনাপাড়া, ছোট ৫নং গ্রাম প্লাবিত হয়। এছাড়া চম্পাপুর ও ধানধানী ইউনিয়নের ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে লোন্দা, কোডেক বাজার, নিশানবাড়িয়া, পাচঁজুনিয়াসহ বিভিন্ন গ্রাম তলিয়ে গেছে। তবে মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর বেড়িবাঁধটি বর্তমানে ঝুঁকিপুর্ন আবস্থায় রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
ধানখালী ইউনিয়ন কলেজ বাজার এলাকার বাসিন্দা জয়নাল মৃধা জানান, প্রতি আমবস্যা ও পূর্ণিমার জোঁ তে বাড়ি-ঘর সহ ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পানি ঢুকে পড়ায় চরম ভোগাস্তির সৃষ্টি হয়েছে। একই এলাকার গৃহবধু কুলসুম বেগম বলেন, জোয়ারের পানিতে দূর্ভোগে পরেছেন তারা।
লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইউনুস ফরাজী বলেন, ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে লালুয়া ইউনিয়নে বেশ কয়েটি গ্রাম তলিয়ে গেছে।
ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার জানান, এ বিষয় নিয়ে উপজেলা পরিষদের মাসিক মিটিংয়ে একাধিকবার কথা বলা হয়েছে।