স্টাফ রিপোটার: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি বলেছেন,বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে আকাশপথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন দুই দেশের পর্যটন শিল্পকে উজ্জীবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এভিয়েশন শিল্পের প্রসারের সাথে বাড়বে পর্যটন শিল্পের প্রবৃদ্ধি।

আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ঢাকা-মালে রুটে সরাসরি ফ্লাইট উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। উল্লেখ্য, ঢাকা-মালে রুটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি শুক্রবার, মঙ্গলবার ও রবিবার সপ্তাহে এই তিন দিন চলাচল করবে।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশের এভিয়েশন শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি লাভ করছে। আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় তিন গুণ। বিপুল প্রবৃদ্ধির এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব হলে একদিকে যেমন বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে, অন্যদিকে দেশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থানের হবে উন্নয়ন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় দেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সবচেয়ে ভালো পরিবেশ বিরাজ করায় বেসরকারি উদ্যোক্তাগণ বিনিয়োগের ভরসা পাচ্ছেন, স্বস্তি বোধ করছেন। অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি এভিয়েশন খাতেও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্স এর পাশাপাশি আমাদের দুটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সও ব্যবসায় ভালো করছে, বাড়ছে তাদের ব্যবসার পরিধি। বর্তমান তিনটি দেশীয় এয়ারলাইন্সের সাথে আগামী বছর আরো নতুন দুটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স দেশের এভিয়েশন শিল্পে যুক্ত হতে যাচ্ছে।

মাহবুব আলী বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে দেশের এভিয়েশন শিল্পের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সরকারের পক্ষ থেকে নীতিগত সহযোগিতা প্রদানের পাশাপাশি আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং এভিয়েশন খাতের সকল অংশীজনের সম্মিলিত চেষ্টায় দেশের এভিয়েশন শিল্প ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বন্ধ থাকা আন্তর্জাতিক রুটে আবার ফ্লাইট শুরু হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নতুন নতুন রুট সংযোজনের মাধ্যমে আমাদের দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলো নতুন করে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে। দেশীয় এয়ালাইন্সগুলোর এই প্রবৃদ্ধি আমাদের এভিয়েশন শিল্পের সক্ষমতারই প্রমাণ। ভবিষ্যতে আমাদের এয়ারলাইন্সগুলো তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অধিকতর আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে এই দেশের এভিয়েশন মার্কেটের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করবে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরুজিমাত সামির ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালন) এয়ার কমোডর সাদেকুর রহমান চৌধুরী।