Home প্রচ্ছদ ইন্টারনেট একটি মানবাধিকার এবং ডেটা সুরক্ষা আইন সুরক্ষার জন্য অনিবার্য

ইন্টারনেট একটি মানবাধিকার এবং ডেটা সুরক্ষা আইন সুরক্ষার জন্য অনিবার্য

49

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ ৩১ জুলাই শেষ হলো বাংলাদেশ ইয়ুথ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের
দু’দিনব্যাপী সম্মেলন। কোভিড-১৯ মহামারি ও লকডাউনের কারণে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইয়ুথ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম বাংলাদেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জাতিসংঘের ইন্টারনেট গভর্নেন্স বিষয়ক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাবার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স প্রতিষ্ঠত হয়েছে। বাংলাদেশ ইয়ুথ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম, বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) এর একটি উদ্যোগ। বাংলাদেশ ইয়ুথ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম একটি বহু-মাত্রিক অংশীজন, যুব এবং যুব নারীদের নেতৃত্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা বাংলাদেশে ইন্টারনেট গভর্নেন্স নিয়ে কাজ করছে।

প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট গভর্নেন্স সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা এই প্রোগ্রামে ইয়ুথ আইজিএফ বাংলাদশ ইনফ্লুয়েন্সার হান্ট, ইয়ুথ এ্যামবাসেডর প্রোগ্রাম, ইয়ুথ ইন্টারনেট গভর্নেন্স, মানবতার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে শিশু এবং কিশোরদের ইন্টারনেটের প্রতি আসক্তি এর প্রভাব, ক্ষতিকর দিক এবং উত্তরণের উপায়, যুব উদ্যোক্তা ˆতরি-ডোমেন নাম নিবন্ধন প্রক্রিয়া এবং সুরক্ষা, যুবদের ক্ষমতায়ন: বিগ ডেটা ও আইওটি, সাইবার ভ্যালু-সিস্টেম এবং ম্যালপ্র্যাকটিস, ওটিটি, ডিজিটাল কন্টেন্ট এবং মনিটাইজেশন, স্থানীয় ও আঞ্চলিক ইন্টারনেট গভর্নেন্সে অংশগ্রহণ, যুবদের জন্য সরকারী সুযোগ: প্রশিক্ষণ ও অনুদান ইত্যাদি।
সরকার, নাগরিক সমাজ, বেসরকারী, প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, একাডেমিয়া, যুব এবং গণমাধ্যম থেকে প্রতিনিধিবৃন্দ ইয়ুথ ইন্টারনেট (জুম প্ল্যাটফর্ম) অংশগ্রহণ করেন। আলোচ্য বিষয়গুলো হলো ইয়ুথ আইজিএফ বাংলাদশ ইনফ্লুয়েন্সার হান্ট, ইয়ুথ এ্যামবাসেডর ও অন্যান্য সেশন।

বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের চেয়ারপারসন এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব হাসানুল হক ইনু, এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন বিআইজিএফ-বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেস ফোরামের উদ্যোগে গতকাল ও আজ দুইদিনব্যাপী এর সমাপনী অধিবেশনে সভাপতির ভাষনে এই ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ৩২ জন বক্তা হিসেবে তাদের মতামত তুলে ধরেন। সারাদেশ থেকে ১৫০ এর বেশি অংশগ্রহণকারী এতে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি বলেন আমরা এখন ডিজিটাল পরস্পর-নির্ভরশীলতা (ইন্ডিপেন্ডেন্স) পর্যায়ে। এখানে সব মহল স্বীকার করেছেন যে, ইন্টারনেটের স্থিতিশীলতা, নির্ভরযোগ্যতা, টেকসই মজবুত অবস্থা দরকার। (সিকিউরিটি, স্ট্যাবিলিটি, রোবাস্টনেস, রেজিলেন্স এন্ড ফাংশনস)
অপরদিকে এটাও সবাই স্বীকার করেন বলে তিনি উল্লেখ করেন যে, আইসিটি ও ইন্টারনেটকে অপব্যবহার করে বৈশ্বিক পর্যায়ে অনিরাপত্তা করা, মানবাধিকার লংঘন করা এবং সরকার-প্রশাসন ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক মহলও জনগণের ক্ষমতায়ন ও স্বার্থ বিঘিœত করছে। তাই এরকম পরিস্থিতিতে সামনে এগুতে হলে “ডিজিটাল শান্তি পরিকল্পনা” দরকার। দরকার “ডিজিটাল পরস্পর-পরস্পর নির্ভরশীলতা”। যা বৈশ্বিক-আঞ্চলিক-জাতীয় পর্যায় ভিত্তিক হতে হবে। এর জন্য ডিজিটাল টেকসই করা পরিকল্পনা ও ডিজিটাল মানবাধিকার পরিকল্পনা ইমার্জিং টেকনোলজির-আনার পরিকল্পনা
অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সমাজ ও অর্থনীতি সবার জন্য গড়তে হলে, তাই ইন্টারনেট হতে হবে, সাইবার নিরাপত্তা বিধানে, মানবাধিকার নিশ্চিতে ফেয়ার ডিজিটাল বাজারে উদ্যোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতের কার্যকরী হাতিয়ার।
এসব লক্ষ্য কার্যকর করতে, আমাদের একমত হতে হবেÑইন্টারনেট এর সেফটি এবং সিকিউরিটি প্রসঙ্গে এবং অপরদিকে ডিজিটিাল যন্ত্রপাতির ব্যবহারে ব্যবহারকারীদেরও সুরক্ষা দিতে হবে।
সেফটি, সিকিউরিটি ওপ্রাইভেসি প্রসঙ্গে তাই ডিজিটাল জগত-ডিজিটাল জগতে বিচরণকারী মানুষদের নিরাপত্তা বিধানে জাতীয় ঐক্যমত গড়ে তোলা এবং জাতীয় চুক্তি করতে হবে। যাতে ডিজিটাল জগতের নিরাপত্তা থাকে, টেকসই ডিজিটাল উন্নয়ন হয় এবং সব অংশীজন মানুষের অধিকার সুরক্ষা হয়।
এসব নীতিগত বিষয় সামনে নিয়ে এমুহুর্তে দেশের বিকাশমান ডিজিটাল সমাজকে আরো বেগমান ও কার্যকর করতে হলে জরুরী ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ নেয়া দরকার। ইন্টারনেট অধিকার-মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃতি; মৌলিক অধিকার হিসাবে বাস্তবায়ন সময়ের দাবি। সাশ্রীয় মূল্যে দ্রæতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত জরুরী ভিত্তিতে করা। ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে সাশ্রয়ী মূল্যে স্মার্ট ফোন তথা এনড্রয়েড ফোন নিশ্চিত করতে এন্ড্রয়েড ফোনের উপর সব ট্যাক্স প্রত্যাহার করা।
ফ্রিজ, টিভিসহ যন্ত্রপাতি সহজ ভিত্তিতে কেনা বেচা হয়, তাই এন্ড্রয়েড ফোন ও কিস্তিতে কেনা-বেচার পদ্ধতি চালু করা। স্থানীয় সরকার সে লক্ষ্যে কিছু অর্থ বরাদ্দ রাখবে। ব্রডব্যন্ড সংযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার এ বিষয়ে তদারকি করা দরকার।
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার লেখা-আয়ত্ব করার জন্য উপজেলা-জেলায় কার্যকর প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা জরুরী ভিত্তিতে গড়া, এই সব প্রশিক্ষণ দায়সারা গোছের না করে যথেষ্ট সময় নিয়ে প্রশিক্ষণ চালানো দরকার। তথ্য সুরক্ষা (ডাটা প্রটেকশন এক্ট) আইন এবং ই-কমার্স জরুরী ভিত্তিতে করা।