ডেস্ক রিপোর্ট: এ যেন লিওনেল মেসির বিশ্বকাপ জয় পূর্ণতা পাওয়ার রাত।

তিন মাস আগে কাতারের লুসাইলে ফ্রান্সকে হারিয়ে জিতেছিলেন বিশ্বকাপ ট্রফি। এর পর দেশে ফিরে ট্রফি নিয়ে ছাদখোলা বাসে চড়ে ট্রফি-জয়টা উদ্‌যাপন করেছিলেন আর্জেন্টাইনদের সঙ্গে। তবে মাঠের অর্জন মাঠে উদ্‌যাপনটা বাকি রয়ে গিয়েছিল। বাকি রয়ে গিয়েছিল তিন তারকা খচিত জার্সি পরে মাঠে নামাও।

আজ বাংলাদেশ সময় ভোরে বুয়েনস এইরেসে মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে সেই ‘অপূর্ণতা’ পূর্ণতা পেয়েছে। পানামার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা, মূলত, যা ছিল আর্জেন্টাইনদের সঙ্গে মেসিদের বিশ্বকাপজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মাধ্যম।
দর্শকদের সামনে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে দেখান মেসি। গ্যালারিভরা দর্শকও তাঁকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানায়। আবেগাপ্লুত মেসি জানান, সব সময় এই মুহূর্তটির স্বপ্ন দেখে এসেছেন তিনি, ‘যে ভালোবাসা আপনারা দিয়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। শুধু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবেই নয়, কোপা আমেরিকার জন্যও। বলেছিলাম সম্ভব সবকিছুই আমরা বিলিয়ে দেব। ব্যক্তিগতভাবে এই মুহূর্তটার স্বপ্ন আমি সব সময় দেখে এসেছি। আর্জেন্টিনায় ফিরে এসে দর্শকদের সঙ্গে উদ্‌যাপন করা, কোপা আমেরিকা, ফিনিলিসিমা আর সবচেয়ে বড় অর্জন – এই বিশ্বকাপটা সবার সামনে তুলে ধরা।’
মেসি বিশ্বকাপ খেলেছেন পাঁচবার। এর মধ্যে ২০১৪ আসরে ফাইনালে উঠলেও হেরে যান জার্মানির কাছে।

আট বছর পর এবার ট্রফি নিয়ে ফেরার পর মেসি স্মরণ করলেন পুরোনো সতীর্থদেরও, ‘আজ আমাদের দিন, চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উৎসবের দিন। তবে এ সময়ে আমি তাদের ভুলে যেতে চাই না, যাদের সঙ্গে এর আগে খেলেছি। ওরাও এই ট্রফিটা জয়ের জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল। এই জার্সির জন্য নিজেদের সর্বস্ব ঢেলে দেওয়ার কারণে তাদেরও স্বীকৃতি প্রাপ্য। পাশাপাশি পূর্বের সকল কোচকেও আমি ধন্যবাদ দিতে চাই। তারাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন।’
কাতারে ৩৫ বছর বয়সী মেসির সঙ্গে বিশ্বকাপের দীর্ঘ অপেক্ষা ঘুচেছিল আর্জেন্টিনারও।

মেসি আশা করেন, পরের বিশ্বকাপের জন্য তিন যুগ অপেক্ষা করা লাগবে না, ‘এই ট্রফিটা জিততে অনেক দীর্ঘ সময় লেগেছে। আমরা জানি না পরেরটা কবে জিতব। আশা করি অনেক বছর লাগবে না। এটা বোঝা গেছে যে, বিশ্বকাপ জেতাটা খুবই কঠিন। অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। শুধু একটি ভালো দল থাকলেই হয় না, আরও অনেক কিছু পক্ষে থাকতে হয়। এখন সময় তিন তারকা উপভোগের।’
প্রথমআলো