ডেস্ক রিপোর্ট: পশ্চিমবঙ্গে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য পর্যাপ্ত মরদেহ নেই। এ সমস্যা মেটাতে এবার মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারে এগিয়ে এলেন কলকাতার সোনাগাছির যৌনকর্মীরা।

শনিবার রাজ্যের মরণোত্তর দেহদানের পথিকৃত সংগঠন গণ দর্পণের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যৌনকর্মীদের সংগঠন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি সোনাগাছিতে একটি মরণোত্তর দেহদানের শিবিরের আয়োজন করে। সেখানে ২৫ জন যৌনকর্মী লিখিতভাবে দেহদানের অঙ্গীকারপত্রে সম্মতি জানিয়েছেন।

গণ দর্পণের যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল চ্যাটার্জী বলেন, ‘৭৫ থেকে ১০০ জন অঙ্গীকারপত্রে সই করবেন আশা করেছিলাম। আবহাওয়া খারাপ থাকার জন্য অনেকে আসতে পারেননি। এখন পর্যন্ত ২৫ জন যৌনকর্মী অঙ্গীকারপত্রে সই করেছেন। ৩০ জনের বেশি ফর্ম নিয়ে গেছেন। শিবির চলছে। আশা করছি, আরও কিছু মানুষ মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারপত্রে সই করবেন।’

দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির পক্ষে জানানো হয়, যৌনকর্মীদের এই মহৎ উদ্যোগে সামিল হতে তারা উৎসাহিত করছেন। আগামী দিনে দুর্বারের নিজস্ব ক্লিনিকে মরণোত্তর দেহ দানের ফর্ম পাওয়া যাবে।

শ্যামল চ্যাটার্জী বলেন, ‘আনন্দের কথা এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। বহু মানুষ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মরণোত্তর দেহদানে এগিয়ে আসছেন। যৌনকর্মীদের মধ্যে এ ব্যাপারে উৎসাহ যোগাতে সোনাগাছিতে এই প্রথম মরণোত্তর দেহ দানের শিবির করা হলো। আগামী দিনে রাজ্যের প্রত্যেকটা যৌন পল্লীতে সচেতনতা প্রচার চালানো হবে। এলজিবিটিদের জন্যও মরণোত্তর দেহদানের উদ্যোগ নেয়া হবে।’

এদিনের অনুষ্ঠানে শারীরিক অসুস্থতার জন্য উপস্থিত থাকতে পারেননি শিল্পী নচিকেতা। তবে গান শুনিয়ে এই উদ্যোগকে উৎসাহিত করেছেন লোপামুদ্রা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

গণদর্পণ সারা বছর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে মরণোত্তর দেহদানের জন্য শিবির করে। বছরে প্রায় ১০ হাজার মানুষ মরণোত্তর দেহদানের জন্য অঙ্গীকারপত্রে সই করেন। সেখান থেকে বছরে প্রায় ৬০০ অঙ্গীকার করা মরণোত্তর দানের দেহ পাওয়া যায়।-আমাদের সময়.কম