Home কুটনৈতিক ও প্রবাস বাংলাদেশের নারীশিক্ষায় যুক্ত মালালা

বাংলাদেশের নারীশিক্ষায় যুক্ত মালালা

32

মালালা ফান্ড

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া মেয়েদের শিক্ষার জন্য এগিয়ে এসেছে ‘মালালা ফান্ড’। ‘মালালা ফান্ড’ নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা। বাংলাদেশের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে সংস্থাটি কাজ শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত চর, হাওর ও উপকূলের দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের শিক্ষার উন্নতিতে কাজ করবে।

ফ্রেন্ডশিপ, গণসাক্ষরতা অভিযান ও পিপলস্ ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন—তিনটি প্রতিষ্ঠান মালালা ফান্ডের অর্থায়নে দেশে মেয়েদের শিক্ষায় কাজ করবে। প্রতিষ্ঠান তিনটি আগে থেকেই দেশের প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষায় কাজ করে আসছে। তিনটির মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে মালালা ফান্ডের আওতায় কাজ শুরু করেছে।

কিশোরগঞ্জের নিকলীতে মালালা ফান্ডের অর্থায়নে পরিচালিত
মালালা পাকিস্তানের নারীশিক্ষা অধিকারকর্মী। তিনি ২০১৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল পুরস্কার পান তিনি।

মালালার জন্মস্থান পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ার সোয়াত উপত্যকা। সেখানে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তান তালেবান। এর বিরোধিতা করেছিলেন মালালা। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর স্কুল থেকে ফেরার সময় মালালাসহ তিনজনকে গুলি করে তালেবান। তিনি গুরুতরভাবে আহত হন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়া হয়। ধীরে ধীরে তিনি সেরে ওঠেন।

মালালা ও তাঁর বাবা জিয়াউদ্দিন ইউসুফজাই ২০১৩ সালে গঠন করেন ‘মালালা ফান্ড’। মালালা ফান্ডের অর্থায়নে বিশ্বের নয়টি দেশে বাস্তবায়িত হচ্ছে ‘এডুকেশন চ্যাম্পিয়নস নেটওয়ার্ক’ কর্মসূচি। দেশগুলো হলো—ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, লেবানন, নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া, তুরস্ক, ব্রাজিল ও বাংলাদেশ। নেটওয়ার্কের উদ্দেশ্য—বিশ্বের সব মেয়ে যেন ১২ বছরের শিক্ষা নিরাপদে শেষ করতে পারে।

বাংলাদেশে মালালা ফান্ডের প্রতিনিধি মোশাররফ তানসেন, ‘২০২০ সালে আমরা বাংলাদেশে কাজ শুরু করি। কাজ শুরুর আগে আমরা সরকারের এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিই।’

মালালা ফান্ড প্রথমে দেশের নারীশিক্ষা, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মেয়েদের শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে একটি গবেষণা করে। গবেষণায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা শনাক্ত হয়।

এরপর ২০২১ সালে মাঠপর্যায়ে কাজের জন্য প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়। ১৩টি থেকে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে এডুকেশন চ্যাম্পিয়নস নেটওয়ার্কে কাজের জন্য চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হয়েছে।
প্রথম আলো