Home খেলা ২০ বছরের খরা ঘুচবে কি এবার?

২০ বছরের খরা ঘুচবে কি এবার?

30

ডেস্ক রিপোর্ট:: ২০ বছর দীর্ঘ সময়। এতদিনেও দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন সংস্করণের ক্রিকেটের একটিতেও কোনো জয় নেই বাংলাদেশের। অপেক্ষা আরও দীর্ঘ করাটা বোধহয় উচিত হবে না। তাই বলে শুধু এই আশাটুকু করেই আজ সেঞ্চুরিয়নে প্রথম ওডিআইতে খেলতে নামবেন না তামিম ইকবালরা।

এর চেয়েও বেশি কিছু বাতাস দিচ্ছে তাদের আশার পালে। গত জানুয়ারিতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে যে ‘অসম্ভব’ সম্ভব হয়েছে, সেটিই বাংলাদেশের জন্য অনুপ্রেরণা। যদিও সেটি ছিল লাল বলের ক্রিকেট। তবুও নিউজিল্যান্ডে প্রথম জয়ই (তা-ও আবার আট উইকেটে) প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ভালো করার অনুপ্রেরণা।

সিরিজের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ওয়ানডে যথাক্রমে ২০ ও ২৩ মার্চ। এরপর দুদল দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে। প্রথম টেস্ট ডারবানে ৩১ মার্চ ও দ্বিতীয় টেস্ট ৮ এপ্রিল শুরু হবে পোর্ট এলিজাবেথে।

এই বিশাল পৃথিবীতে হারিয়ে যাওয়াটা খুবই সহজ। জীবনের মতো ক্রিকেটেও এই গূঢ় বাস্তবতা প্রাসঙ্গিক। পরাজয় যেমন জীবনের অংশ, জয়ও তেমনই বন্ধু হওয়ার জন্য হাত বাড়ায় কখনো কখনো। এবার তাহলে নয় কেন।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওডিআই সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে যখন শুরু হবে, বাংলাদেশে তখন বিকাল ৫টা। দিবারাত্রির ম্যাচ। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, নিজেদের কন্ডিশনে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতিপক্ষের ওপর ছড়ি ঘোরায়। গত জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয় বাভুমাদের জন্য হতে পারে বড় অনুপ্রেরণা।

সেই সিরিজ জয়ই এই সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘অক্সিজেন’। গেল বছর পাকিস্তানের কাছে হোম সিরিজ হেরে আয়ারল্যান্ডে অ্যাওয়ে সিরিজ ড্র এবং শ্রীলংকার সঙ্গে হার প্রোটিয়াদের জন্য ধাক্কা হয়ে এসেছিল। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয় সেই ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছে।

বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসের সলতেও বাড়িয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডে প্রথম জয়। সে কথা আগেই বলা হয়েছে। তাসমানিয়ান পারের দেশে যদি খরা ঘোচানো সম্ভব হয়, তাহলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি দক্ষিণ আফ্রিকায় নয় কেন?

আশান্বিত হওয়ার এক নয়, একাধিক কারণ রয়েছে। স্বাগতিকদের মতো সফরকারী দলও শক্তিতে পিছিয়ে নেই। যাব-না-যাব ধারাবাহিকের শেষ পর্বে সাকিব আল হাসান যাওয়ায় পূর্ণতা পেয়েছে দলের শক্তি। বলাই তো হয়, সাকিব হলেন ‘একে তিন’।

দলে ভারসাম্যের শেষ কথা। তামিম পেয়ে গেছেন পাঁচজন সম্মুখসারির বোলার। ৭ ও ৮ নম্বরে মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেনের উইলো হাতে নামা ব্যাটিং লাইনআপে গভীরতা বাড়াবে।

লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের সাম্প্রতিক জাজ্বল্যমান পারফরম্যান্স বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসের পালে হাওয়া দেবে। মুশফিক বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার, দক্ষিণ আফ্রিকায় যার সেঞ্চুরি রয়েছে।

২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর প্রথম ওডিআইতে হার না-মানা ১১০ রান করেছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংবান্ধব উইকেটে তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম হতে পারেন ‘বাতিঘর’।

রইল টস প্রসঙ্গ। সুপারস্পোর্ট পার্কে টস জিতে ব্যাট করাটা সব সময় সুফল বয়ে আনে না। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে চারটি হারের নজির রয়েছে। সুতরাং…।

শেষে ছোট্ট একটা পরিসংখ্যান-সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ২১টি ওয়ানডে খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। জয় মাত্র চারটি। ১৭টিতে হার। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান ৩৯৭ সাকিবের। সবচেয়ে বেশি উইকেটও তার, ১৩টি।-যুগান্তর